পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ইসরাইল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে চলমান যুদ্ধ অব্যাহত। এই পরিস্থিতিতে দুই পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতার বার্তা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিস্যেপ এরদোগান। রাতভর ধরে চলা অভিযানে ২০০টির বেশি জায়গায় হামলা চালিয়েছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। যার মধ্যে গাজা শহরের রিমালপাড়া এবং খান ইউনিস শহরও রয়েছে।
ইসরাইলের সামরিক বাহিনী বলেছে, যেসব জায়গায় হামলা করা হয়েছে তার মধ্যে একটি মসজিদ ও অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। মসজিদের ভেতরে অস্ত্র রাখার জায়গা ছিল, এক হামাস কমান্ডারের বাড়িতেও হামলা চালায় তারা। হামাসের হামলার জবাবে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর আক্রমণ ‘কেবল শুরু হয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু। অন্যদিকে হামাস হুমকি দিয়েছে যে সাধারণ নাগরিকদের সতর্ক না করে যতবার বিমান হামলা চালানো হবে, ততবার একজন করে আটকদের হত্যা করবে তারা। শনিবার ভোরে শুরু হওয়া এই হামলার জের ধরে এখন পর্যন্ত ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনে দুই পক্ষ মিলিয়ে দেড় হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে। ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা এখন পর্যন্ত অন্তত ৯০০ জন। আর ফিলিস্তিনে এখন পর্যন্ত মারা গেছে প্রায় ৭০০ মানুষ। এদিকে ইসরায়েলের কর্তৃপক্ষ গাজায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি, খাবার, জলসহ সব ধরনের পরিষেবা বন্ধে ‘সম্পূর্ণ অবরোধ’ দেওয়ার পর বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে গাজার স্থানীয় মানুষ।
ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। আঙ্কারার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অবরুদ্ধ গাজায় ত্রাণ পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। শনিবার সকালে হামলা শুরুর পর থেকে ইসরায়েল গাজায় খাদ্য, ওষুধসহ সব ধরনের সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এবং লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতির সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।