পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ফিলিস্তিন এবং ইসরাইলে বন্ধ হোক সহিংসতা। রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের আধ ডজন বর্তমান ও প্রাক্তন ইউরোপীয় সদস্য মঙ্গলবার ইসরাইল ও ফিলিস্তিনে সহিংসতা বন্ধের আর্জি জানিয়েছেন। পূর্ব জেরুসালেম সহ পবিত্র স্থানগুলিতে সাম্প্রতিক সংঘর্ষ হয়েছে। যা দেখে আমরা গভীরভাবেও উদ্বিগ্ন। রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব বারবার শান্ত ও উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছে। সেকথাকেই প্রতিধ্বনিত করেছেন রাষ্ট্রসংঘের এই প্রাক্তন সদস্যরা। তাদের দাবি সহিংসতা অবিলম্বে বন্ধ হোক। আলবেনিয়া, নরওয়ে, ফ্রান্স, এস্তোনিয়া ও আয়ারল্যান্ডের প্রতিনিধিরা এদিন একথা বলেছেন।
আমরা সমস্ত সন্ত্রাসবাদকে নিন্দা জানাই। নিন্দা জানাই গাজা থেকে দক্ষিণ ইসরায়েলে রকেট নিক্ষেপকে। এই এলাকায় শান্তি বিপন্ন হচ্ছে বারবার। বহুবার শান্তি প্রতিষ্ঠার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু কাঙ্খিত শান্তি আসছে না। বিশ্বাসযোগ্য শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। এতদিন যে শান্তি প্রক্রিয়া চলেছে তাতে আর বহু মানুষের আস্থা নেই। কারণ একদিকে শান্তি প্রক্রিয়ার কথা হচ্ছে, অন্যদিকে হিংসা চলছে সমান তালে। ফলে এবার একটি বিশ্বাসযোগ্য শান্তি প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত। জেরুসালেমে চলমান অস্থিরতা বন্ধ করা যায় কিভাবে। তা নিয়ে নিরাপত্তা কাউন্সিলের বন্ধ দরজায় চলছিল আলোচনা। সেই বৈঠকেই বিষয়গুলি উঠে আসে। ফিলিস্তিনের ওয়েস্টব্যাংকে বারবার ইসরাইলি দখলদাররা হামলা চালিয়েছে। ফিলিস্তিনিদের গ্রেফতার করেছে। গুলি করে খুন করেছে অবলীলায়। এপ্রিলের শুরু থেকে ফিলিস্তিনের এই অঞ্চল জুড়ে চলছে ব্যাপক উত্তেজনা। এই রমযানেই ইসরাইলি পুলিশ ও সেনার হাতে খুন হয়েছে নির্দোষ ফিলিস্তিনিরা।
আল-আকসা মসজিদ মুসলিমদের জন্য বিশ্বের তৃতীয় পবিত্র স্থান। ইহুদিরা বারবার এই মসজিদকে তাদের টেম্পল মাউন্ট বলে দাবি করে। শুধু তাই নয় তা দখলেরও মতলবে রয়েছে তারা। সে কারণেই এমন অশান্তি বাধায় তারা। ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরাইল যুদ্ধের সময় ইসরাইল পূর্ব জেরুসালেম দখল করেছিল। এখানেই রয়েছে পবিত্র আল-আকসা। দখলদাররা ১৯৮০ সালে গোটাটা দখল করে নেয়। কিন্তু তাদের এই পদক্ষেপে আজও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় স্বীকৃতি দেয়নি।