পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: প্রথমবারের মতো সারা বিশ্বে পালিত হল ‘ইসলামোফোবিয়া মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক দিবস’। ইসলামোফোবিয়া মোকাবিলা দিবসকে সামনে রেখে ৩০ দেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী আন্তর্জাতিক মুসলিম অ্যাডভোকেসি দলগুলি সকলকে জোটবদ্ধ হয়ে মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ও ইসলামোফোবিয়া মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছে। ২০২১ সালের ১৫ মার্চ প্রথমবারের মতো ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা ওআইসি-র সদর দফতর জেদ্দায় দিনটি বিশেষ ভাবে উদযাপিত হয়। এরপরের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে রাষ্ট্রসংঘ দিনটিকে স্বীকৃতি দিয়ে একটি প্রস্তাব পাস করে। চলতি বছরের ১৫ মার্চ ইসলামোফোবিয়া মোকাবিলা বিষয়ক দিনটি পালন করেছে রাষ্ট্রসংঘ। জানা যায়, নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের আল-নূর মসজিদে ১৫ মার্চ এক শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদীর চালানো সন্ত্রাসী হামলায় ৫১ জন মুসল্লি নিহতের ঘটনার পর ওআইসি ‘ইন্টারন্যাশনাল ডে টু কমব্যাট ইসলামোফোবিয়া’ নামে একটি দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়। ৩০ দেশে কর্মরত ইসলামি এনজিওগুলি এক সম্মিলিত বিবৃতিতে জানায়, ‘ইসলামোফোবিয়া বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। মুসলিম-বিরোধী চরমপন্থা কতটা বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে তার একটি ভয়ঙ্কর উদাহরণ হল ৪ বছর আগে ১৫ই মার্চ নিউজিল্যান্ডের মসজিদে হামলার ঘটনা।’ এনজিওগুলি আরও বলে, ‘ঘৃণামূলক ভাষণ, বৈষম্য, ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর বিধিনিষেধ, ভাঙচুর, সহিংস অপরাধ, নির্বিচারে গ্রেফতারি, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রতীকের ওপর আক্রমণ, গণহত্যা, গণ নজরদারি ও জাতিগত শুদ্ধিকরণ হল বিশ্বব্যাপী টিকে থাকা ইসলাম বিদ্বেষ ও বর্ণবাদের নানা রূপ। এগুলি অগ্রহণযোগ্য, এবং এরা সবই আন্তঃসম্পর্কিত।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘যারা এক দেশে মুসলিমদের টার্গেট করে তারা অন্যান্য দেশের মানুষদেরও মুসলিমদের বিরুদ্ধে একই অন্যায় করতে উৎসাহ জোগায়।’ উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, স্পেন ও ব্রিটেনের মতো দেশে কর্মরত ইসলামি এনজিওগুলি তাদের সম্মিলিত বিবৃতিতে সই করেছে ও ইসলামোফোবিয়ার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।