তেহরান, ২৮ মে: পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় মাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে ইরান। সোজা কথায়, পরমাণু অস্ত্র তৈরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে দেশটি। আর এতেই রাতের ঘুম হারিয়েছে আমেরিকা ও তার মিত্ররা। রাষ্ট্রসংঘের আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানের কাছে যে পরিমাণ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম আছে, তা ২০১৫ সালে বেঁধে দেওয়া পরিমাণের চেয়ে অন্তত ৩০ গুণ বেশি। ইরানের কাছে বর্তমানে ১৪২ দশমিক ১ কেজি ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম আছে, যা গত ফেব্রুয়ারিতে থাকা পরিমাণের চেয়ে ২০ কেজি বেশি। ওয়াশিংটনের ফাউন্ডেশন ফর ডিফেন্সেস অব ডেমোক্রেসিসের নন-প্রলিফারেশন অ্যান্ড বায়োডিফেন্স প্রোগ্রামের ডেপুটি ডিরেক্টর আন্দ্রেয়া স্ট্রাইকার বলেন, ‘এটি খুবই ভয়াবহ যে, ইরান পারমাণবিক কর্মসূচি এগিয়ে নিচ্ছে। ইরান বিপজ্জনকভাবে পরমাণু অস্ত্র অর্জনের কাছাকাছি চলে যাচ্ছে।’ স্ট্রাইকারের মতে, ‘এখন তাদের কাছে যে পরিমাণ ৬০ শতাংশ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম আছে, তা দিয়ে প্রায় চারটি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা সম্ভব। কোনও দেশ চাইলে এই মাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম সরাসরি পারমাণবিক অস্ত্রের জন্য ব্যবহার করতে পারে। এর বাইরেও সম্ভবত সব মিলিয়ে ইরানের কাছে সামগ্রিকভাবে ১৩টিরও বেশি অস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ইউরেনিয়াম মজুত আছে এবং তাঁরা প্রায় ৫ মাসের মধ্যে এটিকে পরিপূর্ণ ওয়েপন-গ্রেড ইউরেনিয়ামে উন্নীত করতে পারবে।’ ৫ মাসে সম্ভব না হলে বড়জোর ৬ মাস সময় লাগবে বলে মনে করেন স্ট্রাইকার। তিনি বলেন, ‘ইরানের অন্তত ৬ মাস লাগবে একটি পরমাণু বোমা বানাতে এবং তারপর সম্ভবত এক বছরেরও বেশি সময় লাগবে এটিকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে স্থাপন করতে।’ গবেষকের মতে, মূলত একবার ইউরেনিয়াম পরিশোধনের ২০ শতাংশ স্তরে পৌঁছানো মানে প্রযুক্তিগত স্তরের বেশির ভাগ কাজ সম্পন্ন করে ফেলা এবং তারপর পরমাণু অস্ত্র তৈরি কেবল কয়েক দিনের অপেক্ষা।