অর্পিতা লাহিড়ীঃ প্রতিবছরের মত চলতি বছরেও সোমবার পেট্রাপোল -বেনাপোল সীমান্তের জিরো পয়েন্টে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠান পালিত হল যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে। কোভিড বিধি মেনেই সীমান্তে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সাংসদ মমতা বালা ঠাকুর, বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিত দাস, বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি আলোরাণি সরকার, বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তরুণ ঘোষ সহ বিশিষ্টরা। নাচ, গান, আবৃত্তির মধ্যে দিয়ে সকলে বিনম্র শ্রদ্ধা জানান প্রাণের ভাষা বাংলাকে।
ছাত্র -ছাত্রীদের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব বোঝাতে তাদের নিয়ে সীমান্তে আসেন ভানু স্যর। দু দেশের জাতীয় সঙ্গীত উদাত্ত কণ্ঠে গাইলেন পড়ুয়ারা।
১৯৫২ সালে তৎকালীন পাকিস্তানি শাসকের চাপিয়ে দেয়া রাষ্ট্রভাষা উর্দূর পরিবর্তে বাংলার দাবিতে প্রাণ হারান সালাম-বরকত-রফিক-শফিক-জব্বার সহ তরুণ তুর্কিরা। উর্দু নয়, চাই রাষ্ট্রভাষা বাংলা। ধর্ম নয়, ক্ষমতা নয় শুধু ভাষার জন্য রক্ত স্নাত হয় ঢাকার রাজপথ। যারা প্রাণ দিলেন তাঁরা ভাষা শহীদ। ২১ শে ফেব্রুয়ারি দিন টিকে ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেয়।
কাঁটাতার কোন দিন ভাষা, সংস্কৃতির পথ রুদ্ধ করতে পারেনা। ২১ শে ফেব্রুয়ারি তা আবারও প্রমাণ করল।