পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ ওমিক্রন আশঙ্কার জেরে কোপ পড়ল আন্তর্জাতিক উড়ান চলাচলে। এখনই চালু হচ্ছে না এই পরিষেবা। আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে এই পরিষেবা চালু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এবার সেই সিদ্ধান্ত থেকে কিছুটা পিছিয়ে এল বেসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে পরবর্তী নির্দেশিকা জানানো হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।
এখন ও পর্যন্ত জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু হচ্ছে না ১৫ ডিসেম্বর থেকে। এখনও পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবার জন্য বর্তমানে যে এয়ার বাবল পদ্ধতি চালু রয়েছে, সেই পদ্ধতিতেই উড়ান চালু থাকবে।
প্রসঙ্গত, ওমিক্রন জ্বরে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। এই পরিস্থিতিতে সরকারের তরফ থেকে কোনও ঝুঁকি নেওয়া হচ্ছে না। আজ, ১ ডিসেম্বর থেকেই ওমিক্রনের আতঙ্কে দেশের বিমানবন্দরগুলিতে কড়াকড়ি বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে তালিকাভুক্ত ১৪টি দেশের থেকে আগত বিমানযাত্রীদের বাধ্যতামূলকভাবে মানতে হবে অনেকগুলি নতুন নিয়ম।
আজ ডিজিসিএ-র থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “বর্তমানে গোটা বিশ্বের সামগ্রিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে, সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে এবং পরিস্থিতির উপর সর্বক্ষণ নজর রাখা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা স্বাভাবিক করার দিনক্ষণ জানানো হবে।’
আগেই নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র। নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যে সব দেশে ওমিক্রনের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, সেখান থেকে ভারতে আসতে গেলে মেনে চলতে হবে কড়া বিধিনিষেধ। বিমান থেকে নামার পর বিমানবন্দরেই বাধ্যতামূলক করা হয়েছে কোভিড পরীক্ষা পাশাপাশি প্রত্যেক যাত্রীকে উড়ানের আগে RT-PCR নেগেটিভ রিপোর্ট দেখাতে হবে। এছাড়াও জমা করতে হবে শেষ ১৪ দিনের ট্রাভেল হিস্ট্রি। এই সমস্ত তথ্য কেন্দ্রীয় সরকারের সুবিধা পোর্টালে আপলোড করতে হবে। ১ ডিসেম্বর থেকে এই নির্দেশিকা কার্যকর হয়েছে। ব্রিটেন, দক্ষিণ আমেরিকা, ব্রাজিল, বাংলাদেশ, বতসোয়ানা, চিন, মরিশাস, নিউজিল্যান্ড, জিম্বাবোয়ে, সিঙ্গাপুর, হংকং, ইজরায়েলের মতো ১২টি দেশকে ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয়মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া জানান, বিশ্বজুড়ে টিকাকরণের হার খতিয়ে দেখার পর ১৫ ডিসেম্বর থেকে পুনরায় উড়ান পরিষেবা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আপাতত ওমিক্রন দাপটে এখনই আন্তর্জাতিক উড়ান চলাচলের পথে হাঁটছে না সরকার।