পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: নারকীয় ঘটনার সাক্ষী থাকল মুম্বইয়ের গার্লস হস্টেল। ১৮ বছর বয়সী মেয়েকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে খুন। গোটা ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কি কারণে এই ঘটনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গোটা ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতা পলিটেকনিক ছাত্রী ছিলেন। গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে খুন করা হয়েছে। ঘটনায় অভিযুক্ত হস্টেলের নিরাপত্তারক্ষী। নির্যাতিতা ছাত্রীর বাড়ি মহারাষ্ট্রের আকোলায়৷ বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। বিদর্ভ এলাকার চারনি রোডের একটি সরকারি গার্লস হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করত সে৷ মঙ্গলবার সকাল থেকেই নির্যাতিতার ফোন করেও পাচ্ছিল না হস্টেল কর্তৃপক্ষ। এদিন সন্ধে নাগাদ তার খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি৷ হস্টেলের মূল প্রবেশদ্বারের খাতাতেও তার নাম এন্ট্রি করা ছিল না। অর্থাৎ সে হস্টেল থেকে বের হয়নি। হস্টেলের পাঁচ তলায় থাকত নির্যাতিতা। সেই ঘরে গিয়ে দেখা যায় দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। গলায় ওড়নার ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখা যায় তাকে। এরপরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে খোঁজ খবর শুরু হলে দেখা যায়, ওই দিন ভোর ৪টে ৫৫ নাগাদ কাপড়ের একটি বান্ডিল নিয়ে হস্টেলের সিকিওরিটি গার্ড প্রকাশ কানোজিয়া হস্টেল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন৷ প্রসঙ্গত, এই কানোজিয়া সিকিওরিটি গার্ড হওয়ার পাশাপাশি হস্টেলের লন্ড্রিরম্যানের কাজও করতেন৷ রেললাইনের ধারে কানিজিয়ার দেহ উদ্ধারের খবর পুলিশ৷ কানোজিয়ার ফোন হস্টেলেই রাখা ছিল।
জানা গিয়েছে, পাঁচ তলা এই হস্টেলের পাঁচতলায় একাই একটি ঘরে থাকত নির্যাতিতা৷ তার বন্ধুরা তাকে নীচের ঘরে থাকতে বললেও নাকি সে রাজি হয়নি৷ সোমবার রাত সাড়ে ১১টার সময় তার সঙ্গে শেষ বার কথা হয় তার এক হস্টেল মেটের৷ প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে তারপর শ্বাসরোধ করে খুন করে কানোজিয়া৷ তারপরে ফোন হস্টেলে ফেলে রেখে গিয়ে রেল ট্র্যাকে গিয়ে আত্মঘাতী হয়৷ অভিযুক্ত সিকিওরিটি গার্ড উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড়ের বাসিন্দা। কিন্তু, তাঁর বাবাও কোলাবায় কর্মরত। এর আগে এই গার্লস হস্টেলেই কাজ করতেন অভিযুক্ত গার্ডের বাবা। কানোজিয়ার ভাইও এই হস্টেলেই কাজ করেন। গত একমাস ধরে সে ছুটিতে রয়েছে। কি কারণে একজন সিকিউরিটি গার্ড এই কাণ্ড ঘটালেন তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।