পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক : তিনি না থাকলে বাংলাদেশটা এমন স্বাধীন হত না। একথা অনেকেই বলেন।তিনি ইন্দিরা গান্ধি। দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। অথচ বিজয় দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী পালনের দিনে উপেক্ষিত থাকলেন ইন্দিরা । তাঁর নামও উচ্চারণ করেনি কেন্দ্রের শাসক দলের নেতারা এবং প্রধানমন্ত্রী মোদি। বৃহস্পতিবার দেহরাদুনে এক জনসভায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি বলেন, ‘আজ দিল্লিতে বাংলাদেশ যুদ্ধ নিয়ে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে ইন্দিরা গান্ধীর কোনও উল্লেখ ছিল না। যে মহিলা এই দেশের জন্য ৩২টি বুলেট খেয়েছিলেন, তাঁর নাম আমন্ত্রণপত্রেও উল্লেখ ছিল না। কারণ এই সরকার সত্যকে ভয় পায়।’
এদিন কংগ্রেস নিজের উদ্যোগেই ১৯৭১-এর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উজ্জাপন করেছিল। কংগ্রেসের মুক্তিযুদ্ধ উজ্জাপন কমিটির চেয়ারম্যান এ কে অ্যান্টনি অভিযোগকরেন, একাত্তরের যুদ্ধের পরে ইন্দিরা গান্ধিকে দুর্গার সঙ্গে তুলনা করেছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। কিন্তু গত এক বছর ধরে একাত্তরের যুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষ উজ্জাপন চললেও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একবারও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নাম পর্যন্ত উচ্চারণ করেননি।
মুক্তি যোদ্ধাদের বীরত্ব ও প্রবল দেশপ্রেমকে শ্রদ্ধা জানিয়ে অনেকই বলেন,ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকা ছাড়া পাকিস্তানকে থেকে বাংলাদেশকে স্বাধীন করা আদৌ সম্ভব ছিল না। রাহুল গান্ধী এদিন আরও বলেন, ‘১৯৭১ সালের যুদ্ধে পাকিস্তান ১৩ দিনের মধ্যে মাথা নত করেছিল। সাধারণত, একটি যুদ্ধ ৬ মাস বা এক থেকে দুই বছর ধরে চলে। আফগানিস্তানকে হারাতে আমেরিকার ২০ বছর লেগেছিল। কিন্তু ভারত পাকিস্তানকে ১৩ দিনের মধ্যে হারায়। কারণ ভারত ঐক্যবদ্ধ ছিল এবং এক হয়ে দাঁড়িয়েছিল।’