পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ৩৫ হাজার ছুঁই ছুঁই। আহতও প্রায় ৮৫ হাজারের মতো। এখনও পর্যন্ত গৃহহীন ৫৮ লাখের মতো মানুষ। খোলা আকাশের নীচে স্থান হয়েছে গাজিয়াতেপের বেহিরভাগ বাসিন্দার। চোখের নিমেষে কার্যতই সৃষ্টি হয়েছে মৃত্যু উপত্যকা। ভূমিকম্পের তিন দিন আগেই এই বিপর্যয়ের আঁচ পেয়েছিলেন ডাচ বিশেষজ্ঞ ফ্র্যাঙ্ক হুগারবিটস। তাঁর আশঙ্কা ছিল, শিগগিরি তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্প হতে পারে। এবার সেই বিশেষজ্ঞেরই দাবি, শিগগিরি এমন কম্পন অনুভূত হতে পারে আফগানিস্তান, ভারত ও পাকিস্তানে!
উল্লেখ্য , তুরস্কের মতোই রাজধানী নয়াদিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা ধ্বংসস্তূপ হবে! রক্ষা পাবে না পাকিস্তানও। ভয়াবহ ভূমিকম্পে ছিন্নভিন্ন হতে পারে ভারতের প্রতিবেশী। ভূমিকম্পের উৎস আফগানিস্তানের উত্তরে হিন্দুকুশ পর্বতের কন্দরে কোনও অংশে। সেখান থেকে কম্পনের ঢেউ ছড়িয়ে পড়বে পাকিস্তান ও ভারতে। কল্পনা নয়, এমনটাই পূর্বাভাস ডাচ গবেষক ফ্র্যাঙ্ক হুগারবিটসের।
ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে ফ্রাঙ্ক হুগারবিটসকে আফগানিস্তানে একটি বড় ভূমিকম্পের পূর্বাভাস করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই নেট দুনিয়ায় সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
ডাচ গবেষকের মতে, ভূমিকম্পের কার্যকলাপ শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান ও ভারত অতিক্রম করার পর ভারত মহাসাগরে শেষ হবে। টুইটারে মুহম্মদ ইব্রাহিম ভিডিওটি শেয়ার করেছেন এবং লিখেছেন, “ডাচ গবেষক ফ্রাঙ্ক হুগারবিটস যিনি তিন দিন আগে তুরস্ক এবং সিরিয়াতে ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, এবার তিনি জানাচ্ছেন আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং ভারত হয়ে বড় আকারের ভূমিকম্পের আশঙ্কা রয়েছে। এই কম্পন অবশেষে ভারত মহাসাগরে গিয়ে শেষ হবে।
কিন্তু খড়গপুর আইআইটির অধ্যাপক এবং ভূবিজ্ঞানী শঙ্করকুমার নাথ বলছেন, ‘তুরস্ক-সিরিয়ার ওই জায়গা অ্যানাটোলিয়া, আফ্রিকা এবং আরবীয় – এই তিনটে প্লেটের সংযোগস্থল। কাজেই এখানে ভূমিকম্প হওয়ার মধ্যে অবাক হওয়ার কিছু নেই।’
এই ভূবিজ্ঞানী বলছেন, ‘স্থান, নির্দিষ্ট কোনও সময় এবং কত মাত্রার ভূমিকম্প হবে – এই তিনটি বিষয় যদি নির্ভুল ভাবে বলা যায়, একমাত্র তা হলেই সেটাকে যথাযথ পূর্বাভাস বলে মনে করা হয়।