পুবের কলম, ওয়েব ডেস্কঃ ভারতীয় জাহাজকে নোঙরের অনুমতি প্রত্যাখান করল ইউরোপীয় দেশ স্পেন। বৃহস্পতিবার ব্রাসেলসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন স্পেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসে ম্যানুয়েল আলবারেস বুয়েনো। দ্য গার্ডিয়ান প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে স্পেনের সরকারি কর্তৃপক্ষদের উদ্ধৃত করে দাবি করা হয়েছে, ওই জাহাজে করে ইসরাইলের জন্য অস্ত্র সরবরাহ করছিল ভারত। জাহাজটি ডেনমার্কের পতাকা নিয়ে ভূমধ্যসাগরের উপর দিয়ে ইসরাইলের দিকে যাচ্ছিল।
স্পেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী জানিয়েছেন, “আমরা এই প্রথম কোনো বিদেশী জাহাজকে নোঙর করতে দিইনি। কারণ, এই জাহাজে বিপুল অস্ত্র আছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। আমরা আরও জানতে পেরেছি যে অস্ত্রগুলো ইসরাইলে পাঠানো হচ্ছে।” একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, “ভবিষ্যতেও অন্য যেকোনো দেশের যেকোনো জাহাজকে একই কারণে আটকাবে স্পেন। এটাই আমাদের নীতি। কারণ, মধ্যপ্রাচ্যের আর অস্ত্রের প্রয়োজন নেই, তারা শান্তি চায়।”
আলবারেস জাহাজের বিশদ বিবরণ দেননি তবে স্পেনের পরিবহন মন্ত্রী, অস্কার পুয়েন্তে বলেছেন যে, ২১ মে কার্টেজেনার দক্ষিণ-পূর্ব বন্দরে মারিয়ান ড্যানিকা নামে জাহাজটি নোঙর ফেলতে চেয়েছিল। তিনি জানান, ডেনমার্কের পতাকাবাহী জাহাজটি ভারতের চেন্নাই থেকে ইসরায়েলের হাইফা বন্দরে ২৭ টন বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ে যাচ্ছিল।
মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধে স্পেনের অবস্থান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। প্রথম থেকেই গাজায় ইসরাইলের যাবতীয় হামলার বিরোধিতা করে এসেছে স্পেন। পশ্চিম এশিয়ায় শান্তি স্থাপনের দাবি জানিয়েছে তারা। যুদ্ধের শুরুতেই ইসরাইলে অস্ত্র বিক্রি করা বন্ধ করে দিয়েছিল স্পেন। একইসাথে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথাও বলেছে বারবার।
ইসরাইলে গোপনে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক কোনও প্রতিক্রিয়া না জানালেও তারা বলেছে, ভূমধ্যসাগরে কোনও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করা হয়নি। প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ইসরাইলের কাছ থেকেও।
তবে প্রশ্ন উঠছে, চেন্নাই থেকে লোহিত সাগরীয় অঞ্চল দিয়েই সমুদ্রপথে ইসরাইলে যাওয়া হয়ে থাকে। সেই পথ দিয়ে না গিয়ে কেন ঘুরপথে ভূমধ্যসাগর দিয়ে ইসরাইলে পৌঁছনোর চেষ্টা করা হচ্ছিল। যার ফলে গোপনে অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগই গুরুত্ব পাচ্ছে।