পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতকে ড্রোন তৈরির শক্তিশালী কেন্দ্রতে রূপান্তরিত করার জন্য দেশবাসীকে একটি জোরালো বার্তা দিয়েছিলেন। চলতি বছরের মে মাসে আয়োজিত ভারত ড্রোন মহোৎসবে নিজে একটি ড্রোন উড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশের মানুষকে বোঝাতে চেয়েছিলেন এই সিস্টেমগুলি ভবিষ্যতে ব্যবসা এবং সামাজিক কল্যাণের জন্য অপরিহার্য হয়ে উঠবে এবং ভারত বিশ্ব বাজারে একটি অন্যতম জায়গা তৈরি করে নেবে।
এবার সেই পদক্ষেপে একধাপ এগোল ভারত। ‘২০৩০ ড্রোন হাব মিশন’ বাড়ানোর জন্য প্রণোদনা প্রকল্প নিয়ে পর্যালোচনা শুরু করল কেন্দ্র সরকার। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে সচিবদের একটি দল এই প্রকল্পে ব্যয়ের পরিমাণ নির্ধারণ করেছেন।
বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রক ভারতে ড্রোন এবং ড্রোন উপাদানগুলির জন্য প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেনটিভ (পিএলআই) স্কিমের অপারেশনাল নির্দেশিকাগুলিকে সম্পর্কে জানিয়েছে। এই উদ্যোগের ফলে ভারত ২০৩০ সালের মধ্যে একটি বিশিষ্ট ড্রোন উৎপাদন কেন্দ্রে পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে আরও একধাপ এগিয়ে গেল।
সরকার এই ড্রোন হাব মিশন প্রকল্পে ১২০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। প্রকল্পের জন্য লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ। শিল্প প্রতিনিধিসহ অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনার পর এই নির্দেশিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। পিএলআই প্রকল্পটি শুধুমাত্র ভারতে ড্রোন এবং ড্রোন যন্ত্রাংশ তৈরিতে নিযুক্ত কোম্পানিগুলির জন্য কাজ করবে।
কেন্দ্র সরকারের আশা আগামী তিন বছরের মধ্যে ড্রোন উৎপাদন খাতে বার্ষিক টার্নওভার ৯০০ কোটি ও পরিষেবা খাতে ৩০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। এই প্রকল্পের ফলে ৫ লক্ষের বেশি কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে আশাবাদি কেন্দ্র সরকার।
ন্যানো ইউরিয়া স্প্রে করা, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পরিবহন, আবহাওয়ার পূর্বাভাস, বনাঞ্চলের নজরদারি, সীমান্ত টহল এবং গ্রামীণ সমীক্ষা করার মতো সামরিক ব্যবহারের পাশাপাশি কৃষি ও স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে এই প্রকল্পটি কাজে লাগবে।