পুবের কলম প্রতিবেদক: বিধানসভার ভোটাভুটি বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। গত সোমবার সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার বিলে ভোটাভুটির গণনায় দেখা যায় ১৮২টি ভোট পেয়েছেন শাসকদল। আর ৪০টি ভোট পড়েûছে বিরোধীপক্ষে। এই ঘটনার পরে বিষয়টি নিয়ে তোপ লাগেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
তিনি কটাক্ষ করেন, এখানে ছাপ্পা ভোট পড়েছে। প্রয়োজনে এর বিরুদ্ধেও কোর্টে যাবেন তিনি। এই হিসাবটা তত্ত্বই শেষ পর্যন্ত অস্বস্তিতে ফেলেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। একইভাবে অস্বস্তি তৈরি করেছেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যও। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে শেষ পর্যন্ত বিধানসভায় এই ফলাফলের জন্য ভুল স্বীকার করতে হল তাঁকে। এদিন বিধানসভায় একটি বিবৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ভোটের ফলে ভুল হয়েছিল। এমন ভুল ভবিষ্যতে হবে না বলেই আশা করব। কী করে এমন ভুল হল, তা খতিয়ে দেখার জন্য বিভাগীয় তদন্তও শুরু হয়ে গিয়েছে।
তবে এদিন এই বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বালুরঘাটের বিধায়ক লাহিড়ীর গলায় কটাক্ষের সুর শোনা যায়। এই ঘটনায় যেভাবে বিধানসভার সচিবালয়ের অদূরদর্শিতা এবং অদক্ষতা প্রকাশ্যে চলে এসেছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
এখানে শেষ নয়, তিনি আরও বলেন, কাল খুব কষ্ট পেয়েছি। এটা দুর্ভাগ্যজনক। অনেকে বলেছেন যে এটা ষড়যন্ত্র। আমি বিশ্বাস করিনি। লোকসভা বা বিধানসভায় ভোট হয়, কিন্তু এমন হয় না। স্পিকার স্যর, আপনি শ্রেষ্ঠ। আপনি আমাদের নেতা।
জবাবে অধ্যক্ষ বলেন, ‘কাউন্টিংয়ে ভুল হয়েছিল। সিনিয়র একজন কাউন্ট করেছিলেন। তিনি অবসরের দোরগোড়ায় রয়েছেন। আমি সবটা বলেছি সকালে। আমরা সবাই বিধানসভায় সদস্য। সভার মর্যাদা রক্ষা করব। বিধানসভার উপর আস্থা রাখুন। লোকসভায় সাবজেক্ট টু কারেকশন নামে একটা ডিসপ্লে বোর্ড থাকে। আমাদের এক কর্মচারী ভুল করেছিলেন। আমি সঙ্গে সঙ্গে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিই। আপনি মনে হয় সেই সময় ছিলেন না।’