বিশেষ প্রতিবেদন: জেরুসালেমের ইসলামিক এনডাউমেন্টস ডিপার্টমেন্ট পবিত্র আল-আকসা মসজিদ নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, ২০২২ সালে আল আকসা মসজিদে ৪৮ হাজার যায়নবাদী দখলদার প্রবেশ করেছ ও তাণ্ডব চালিয়েছে। তাই ২০২২ সালকে আল-আকসার জন্য সবচেয়ে খারাপ বছর হিসাবে মনে করা হচ্ছে।
আল-আকসা মসজিদ বিষয়ক বিভাগ ও ইসলামিক এনডাউমেন্টসের মহাপরিচালক শেখ আজাম আল খাতিব জানান, ২০২২ সালে অসংখ্য বার আইন-কানুন লঙ্ঘন করে আল-আকসা মসজিদে ইসরাইলি দখলদাররা প্রবেশে করেছে। তিনি একটি বিবৃতিতে বলেন, ‘২০২২ সালে অনুপ্রবেশের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। পবিত্র আল-আকসা মসজিদের মুঘরাবি গেট থেকে অভিযান চালানো ইহুদি চরমপন্থীদের মোট সংখ্যা ৪৮,২৩৮-এ পৌঁছেছে।’
আল খাতিব আরও বলেন, ‘মসজিদ চত্বরে সেনা মোতায়েনের মাধ্যমেই শুধু আইন লঙ্ঘিত হয়নি, ওই এলাকায় সামরিক ব্যারাক পর্যন্ত তৈরি করা হয়েছে।’ তিনি যোগ করেন, উগ্র ডানপন্থী ইসরাইলি সরকারের উত্থানের আলোকে আল-আকসা মসজিদে আইন লঙ্ঘনের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে যা এই অঞ্চল এবং বিশ্বে একটি ধর্মীয় যুদ্ধের সূচনা ঘটাবে।’ বর্তমানে ইসরাইলে নেতানিয়াহুর অধীনে উগ্র ডানপন্থী ‘সন্ত্রাসী’ সরকার আসায় আরও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা।
তারা মনে করছেন, ইসরাইলের নয়া সরকার জেরুসালেম ও আল-আকসা মসজিদ নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে নিয়ে যাবে। উল্লেখ্য, আল-আকসা মসজিদে প্রায়ই ইহুদি দখলদার বাহিনী, যায়নবাদী পুলিশ ও অত্যাচারী ইসরাইলি সেনা দ্বারা নির্যাতিত হয় ফিলিস্তিনি মুসল্লিরা। বুধবারই সর্বশেষ ইহুদি সেনা আল-আকসাকে বিভাজিত করার লক্ষ্যে নেমেছিল। ২০০৩ সাল থেকেই ইসরাইল একতরফাভাবে নেওয়া এক সিদ্ধান্তে আল-আকসা মসজিদে ইহুদি দখলদারদের প্রবেশে অনুমতি দেয়। ইসলামিক এনডাউমেন্টসের কোনও বিরোধে কর্ণপাত করে না তেল আবিব।