পুবের কলম প্রতিবেদক: গভীর সংকটে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সবথেকে বড় শরিক দল এমকিউএম (পি) ইতিমধ্যেই ইমরানের সঙ্গ ছেড়ে বিরোধী শিবিরে যোগ দিয়েছে। বেসুরো আরও এক শরিক বিএপি। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বিরোধীরা পার্লামেন্টে ইমরান খান সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে। জানা গিয়েছে, এই নিয়ে পাক পার্লামেন্টে ডিবেট বা বিতর্ক হবে ৩ এপ্রিল। এদিকে, বুধবারই ইমরানের পিটিআই সরকারের তথ্য মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরি বলেন, এত সহজে হাল ছাড়বেন না ইমরান। শেষ বল পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবেন। তাঁর মন্তব্যের ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই বোঝা যাচ্ছে মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ইমরান। ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের মুখপাত্র নীলম ইরশাদ দাবি করেছেন, পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ইস্তফা দেবেন না। সেনা অফিসারদের সঙ্গে বুধবারই তাঁর খুব তাৎপর্যপূর্ণ ও ইতিবাচক একটি বৈঠক হয়েছে। এদিকে, পাকিস্তানের একটি সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ইমরান নাকি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, বিরোধীরা তাঁর বিরুদ্ধে আনা অনস্থা প্রস্তাব প্রত্যাহার না করলে তিনি পার্লামেন্ট ভেঙে দেবেন।
যদিও পিটিআই সরকারের শরিক দল এমকিউএম (পি) সহ বিরোধীরা এদিন পাল্টা দাবি করেছে, ইমরানের ‘খেলা শেষ’। তারা ইমরানের বিরুদ্ধে যে অনাস্থা এনেছে তা প্রত্যাহার করবে না। বিরোধীদের দাবি, ৩৪২ সদস্য বিশিষ্ট পার্লামেন্টে তাদের হাতে এখন ১৭৭জন সদস্য রয়েছেন। বাইরে থেকে আরও ২০জন সাংসদের সমর্থন রয়েছে। তাই পার্লামেন্টে ইমরান খান সংখ্যালঘু হয়ে পড়েছেন। যুদ্ধে হেরে গিয়েছেন। ওনার উচিত পদত্যাগ করা। এদিকে, অনাস্থা ভেটের আগে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি (এনএসসি) বৈঠক ডেকেছেন ইমরান খান। নিরাপত্তা ইস্যুতে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সবথেকে বড় ফোরাম হচ্ছে এই এনএসসি। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে এই বৈঠক হবে। উল্লেখ্য, এই এনএসসি’র পৌরহিত্য করেন প্রধানমন্ত্রী নিজে। এই কমিটিতে অন্যান্যদের মধ্যে রয়েছেন দেশের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা, শীর্ষ গোয়েন্দা অফিসার ও বিভিন্ন সরকারি বিভাগের প্রধানরা। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার বিকালে পাক পার্লামেন্টে প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটির জন্য। এই নিয়ে পার্লামেন্টে হইচই শুরু হলে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি করে দিয়েছেন স্পিকার। তবে, জানা গিয়েছে, শরিক দলগুলির সঙ্গে ‘ব্যাক ডোর’ আলোচনা চালাচ্ছেন ইমরান। রফা সূত্র খোঁজার জোর প্রচেষ্টা চলছে।