বিশেষ প্রতিবেদন: ইসরাইলি বাহিনীর আগ্রাসী আচরণ ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের সাহস ও দৃঢ়তা দেখে মুগ্ধ বিশ্ববাসী। বিষয়টি এতটাই মুগ্ধতা ছড়িয়েছে যে, নিজেদের ধর্ম বদল করে অনেকেই মুসলিম হয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি এমনই এক ঘটনা ঘটেছে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে। সেখানে ৩০ জন অজি নারী এক সঙ্গে ইসলাম গ্রহণ করেছেন। গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় নির্বিচার হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। পুরো গাজা মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। এর মধ্যেও ফিলিস্তিনিরা নিজেদের ধর্মের ওপর দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত রয়েছেন। অতুলনীয় দেশপ্রেমের পাশাপাশি ধর্মের জন্য তাদের আত্মত্যাগ ইসলামকে বিশ্বে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। ফলে বিভিন্ন ধর্মের অনেকেই ইসলাম সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। এত অত্যাচার-নিপীড়নের পরও কীভাবে ধর্মের প্রতি ফিলিস্তিনিদের এত আস্থা টিকে আছে তার কারণ খোঁজার চেষ্টা করছেন। এ নিয়ে পড়াশোনা ও গবেষণার এক পর্যায়ে অনেকেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছেন। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহরে একসঙ্গে ৩০ জন অজি নারী ইসলাম গ্রহণ করেন। মেলবোর্নের মেডহা ইস্ট মসজিদে তারা কালেমায়ে শাহাদাত পাঠ করে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন। ওই মসজিদে ধারাবাহিকভাবে নারীরা কালেমা পাঠ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণের ঘোষণা দেন। পরে তারা এ ব্যাপারে নিজেদের প্রতিক্রিয়াও ব্যক্ত করেন। ক্রিস্টিন কর্গনাক নামের নওমুসলিম বলেছেন, ইসলামের ওপর গভীর বিশ্বাস জন্মেছে তাঁর অন্তরে। এরই পাশাপাশি জীবনবাজি রেখে অন্যায়ের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের লড়াই তাঁকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করেছে। অন্যদিকে নওমুসলিম জ্যাকুলিন রেটজ্যাক নিজের প্রতিক্রিয়ায় জানান, ‘মুসলমান হওয়ার পর আমার মনে হচ্ছে, আমি যেন প্রকৃত শান্তির পথ খুঁজে পেয়েছি।’