পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ দীর্ঘ ৫০ বছরের ইতিহাসের সাক্ষী ‘অমর জওয়ান জ্যোতি’র আগুন নিভতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার পর তৈরি করেছেন ‘ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়াল’ বা ‘জাতীয় যুদ্ধ স্মারক’। সেই স্মারকের সঙ্গেই মিশে যাবে অমর জ্যোতির আগুন।
১৯৭২ সালে প্রজাতন্ত্র দিবসে এই শৌধের উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধি। ১৯৭১-এর যুদ্ধের শহিদ হওয়া সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই তৈরি হয়েছিল ‘অমর জওয়ান জ্যোতি’। একটি মার্বেলের স্তম্ভে একটি রাইফেল ও সৈনিকের হেলমেট রাখা রয়েছে এখানে। সূত্রের খবর, শুক্রবার ইন্ডিয়া গেটের কাছে এই অগ্নিশিখা ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালের নিয়ে যাওয়া হবে। প্রায় ৪০০ মিটার দূরত্বে নিয়ে যাওয়া হবে এই শিখা। এরপর ইন্ডিয়া গেটের সেই শিখা নির্বাপিত করা হতে পারে।
২০১৯-এর ২৫ জুন ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে গ্রানাইট পাথরের খোদাই করা রয়েছে ২৫ হাজার ৯৪২ জন শহিদের নাম। ইন্ডিয়া গেটের কাছে প্রায় ৪০ একর জায়গা জুড়ে গড়ে উঠেছে এই জাতীয় যুদ্ধ স্মারক। চারটি চক্রের আকারে বানানো হয়েছে দেওয়াল। উঁচু থেকে দেখলে এটিকে অনেকটা চক্রব্যূহের মতো মনে হয়। চক্র চারটির নাম দেওয়া হয়েছে, অমর চক্র, বীরতা চক্র, ত্যাগ চক্র ও রক্ষক চক্র।
২০২০-র পর থেকেই প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন বদল আসে রীতিতে। বর্তমানে প্রজাতন্ত্র দিবসের সকালে ন্যাশনাল ওয়ার মেমোরিয়ালে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
১৯৭১ সালে হওয়া মুক্তি যুদ্ধে ভারতের বহু জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন। এরপর ১৯৭২ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসে সেই সব শহিদ হওয়া বীর জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানাতে অমর জওয়ান জ্যোতি উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিয়া গান্ধি।
১৯৭২ সালে সেই স্মারক তৈরির পর থেকে প্রতি বছর প্রজাতন্ত্র দিবসের সকালে অমর জওয়ান জ্যোতিতে শ্রদ্ধা জানান দেশের রাষ্ট্রপতি, দেশের প্রধানমন্ত্রী, নৌবহিনী, বায়ুসেনা ও স্থলসেনার প্রধান। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সেখানেই শ্রদ্ধা জানাতেন নরেন্দ্র মোদিও।