পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: দু’দিন আগেই ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার খবর আসে আফ্রিকার দেশ তাঞ্জানিয়া থেকে। জানা যায়; এক শহর থেকে অন্য শহরে যাওয়ার সময় একটি হ্রদে বিধ্বস্ত হয় একটি যাত্রিবাহী বিমান।
ঘটনায় ১৯ জন প্রাণ হারান। তবে বেঁচে গিয়েছেন ৪৫ বছরের রিচার্ড কোম্বা। ভাগ্যের জোরে দুর্ঘটনা থেকে বাঁচার পর হাসপাতালের বেডে শুয়ে সেই ভয়ানক অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন তিনি।
বলেন; ‘আমি কীভাবে বাঁচলাম তা ঈশ্বরই জানেন। বিমানটি পানিতে বিধ্বস্ত হওয়ার পর বিমানকর্মীরা আপৎকালীন দরজাটি খুলে দেন। সেই দরজা দিয়ে বেরিয়ে আমি বিমানের ওপরে উঠে যাই ও সহায়তার অপেক্ষা করতে থাকি।’
রিচার্ড জানান; বিমানের সামনের সারিতে যেসব যাত্রী ছিলেন; তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই পানিতে ডুবে মারা যান। আরও বলেন; ‘আমি পেছনে বসেছিলাম। তাই যখনই আপৎকালীন দরজা খোলা হয়; আমি সেটা দিয়ে বেরিয়ে যাই।’ কিন্তু ঠিক কীভাবে ও কখন মাঝ আকাশে বিমানে সমস্যা দেখা দিল?
বেঁচে ফেরা রিচার্ড কোম্বা জানান; প্রেসিশন এয়ার পি ডব্লিউ ৪৯৪ দার আস সালাম থেকে বুকোবার দিকে যাচ্ছিল। বুকোবা টাউনটি ভিক্টোরিয়া হ্রদের পাশেই।
এরপর হঠাৎই বিমানটি দুলতে থাকে। পাইলট সতর্কতা ঘোষণা করে বলেন; অবতরে সময় আরও ঝাঁকুনি দিতে পারে। রিচার্ডের কথায়; ‘হঠাৎই প্লেনটি ভয়ানকভাবে দুলতে শুরু করে। খানিক পরে সেটি লেক ভিক্টোরিয়ায় গিয়ে বিধ্বস্ত হয়।’
বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে বোঝার পর যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। পরে প্রশাসনিক তৎপরতায় দ্রুত উদ্ধারকর্মী দল ঘটনাস্থলে আসে।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে; খারাপ আবহাওয়ার কারইে বিমানটিতে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। আঞ্চলিক কমিশনার আলবার্ট চালামিলা জানান; বিমানটিতে ৩৯ জন যাত্রী; দুই পাইলট এবং দুই কেবিন ক্রু -সহ মোট ৪৩ জন আরোহী ছিলেন।
দুর্ঘটনার পর তাৎক্ষণিক ভাবে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং এয়ারলাইন্স সংস্থা বলেছিল; পিডব্লিউ ৪৯৪ ফ্লাইটে থাকা ৪৩ জনের মধ্যে ২৬ জনকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে এবং কাগেরা অঞ্চলের বুকোবা শহরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
চালামিলা বলেন; ‘আমরা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। দু’জন ব্যক্তি প্লেনের আরোহী না হলেও দুর্ঘটনার পর উদ্ধার প্রচেষ্টার সময় মারা গেছেন; এমন সম্ভাবনা রয়েছে।’