পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ ত্রিপুরার ঘটনা সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার অভিষেক বলেন, ত্রিপুরায় নৈরাজ্যের পরিস্থিতি চলছে। এখানে বিরোধীদের সভা করার অনুমতি দেওয়া হয় না। হাসপাতালের ভিতরেও ঢুকে পড়ে বিপ্লব দেবের গুন্ডারা। কারু মাথা, কারুকে কোমড়ে আক্রমণ করা হচ্ছে, এমনকী সংবাদমাধ্যমকে ছাড় দেওয়া হয় না। দমন-পীড়নের ঘটনায় প্রতিদিনই রেকর্ড গড়ছে ত্রিপুরা।
এদিন অভিষেক বলেন, ত্রিপুরা থানায় একদিনে দু’বার আক্রমণ। আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারীদের এই অবস্থা হলে বাকিদের নিরাপত্তা কোথায়?
অভিষেক এদিন তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর বিপ্লব দেবের ইন্ধনে গুন্ডাবাহিনী হেলমেট পরে হামলা চালাচ্ছে। আসলে বিজেপি নেতাদের খুশি করার চেষ্টা করছে পুলিশ। পুলিশের সামনে থানার সামনেই আক্রমণ, অথচ পুলিশ নীরব দর্শক।
পায়ের তলায় মাটি সরে গেছে বিজেপির। নির্লজ্জ হয়ে গেছে বিপ্লব দেব সরকার। আমরা সুপ্রিম কোর্টে আদালত অবমাননার মামলা করেছি। মঙ্গলবার শুনানি। ত্রিপুরায় কি কি হয়েছে, তার সব ছবি আদালতে জমা দিয়েছি।
এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকেই ত্রিপুরা সরকারকে তীব্র কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, ত্রিপুরা সরকার নিজের যা ভাবমূর্তি তৈরি করেছে, তাতে ৫০ বছর পিছিয়ে গিয়েছে এই রাজ্য। অত্যাচার না করে উন্নয়নের দিকে মন দিলে এত অবনতি হত না। বিপ্লব দেবের ইন্ধনে দুয়ারে দুয়ারে গুন্ডা দমন-পীড়নে রোজ রেকর্ড ভাঙছে বিজেপি। আগামীদিনে দুয়ারে দুয়ারে গুন্ডা হবে। ত্রিপুরাতেই সবচেয়ে বেশি সন্ত্রাস। রাস্তা, আলো, নিকাশি বিজেপির আমলে সব কিছু শুধু অবনতি হয়েছে।
সাংবাদিক বৈঠক থেকেই মোদি সরকারকে তীব্র কটাক্ষ অভিষেকের, বাংলা থেকে হেরেছে বলেই বিল প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই কারণে পেট্রোল-ডিজেলের দামও কমানো হয়েছে।
সায়নী ঘোষের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘খেলা হবে’ প্রধানমন্ত্রী বললে গ্রেফতার হয় না? মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে সায়নীকে। আসলে তৃণমূকে ভয় পেয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিপিএম, কংগ্রেস নয়, একমাত্র তৃণমূলই বিজেপিকে সরাতে পারবে। ত্রিপুরা এখন মগের মুলুকে পরিণত হয়েছে। আগরতলা পুরসভায় থাবা বসাতে পারবে না বিজেপি।