পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: স্বামিকে খুনের অভিযোগে স্ত্রী এবং তাঁর প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে মুম্বই ক্রাইমব্রাঞ্চ। ধৃত ওই মহিলার নাম কবিতা শাহ এবং গ্রেফতার হওয়া প্রেমিকের নাম হিতেশ জৈন। নিহত ওই ব্যক্তির নাম কমলাকান্ত শাহ। প্রায় আড়াই মাস আগে ৪৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে বলে মুম্বই পুলিশের প্রাথমিক অনুমান।
মুম্বইয়ের সান্তাক্রুজের বাসিন্দা কমলাকান্ত পেশায় ছিলেন একজন পোশাক ব্যবসায়ী। হিতেশ ছিলেন কমলাকান্তের বন্ধু। তিনিও পোশাক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেই সূত্রেই কবিতার সঙ্গে পরিচয় হয় হিতেশের। এরপরই ক্রমেই সম্পর্ক গাড় হতে শুরু করে কবিতা- হিতেশের । বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন কবিতা। মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে ২০০২ সালে কমলাকান্ত এবং কবিতার বিয়ে হয়। তবে হিতেশের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার ঘটনা টের পেয়ে যান কমলাকান্ত। এরপর থেকেই শুরু হয় অশান্তি। পথের কাঁটা সরাতে মরিয়া হয়ে ওঠেন কবিতা এবং হিতেশ দুজনেই।
মুম্বই ক্রাইমব্রাঞ্চের পুলিশের আরও দাবি দীর্ঘদিন ধরেই ধীরে ধীরে কমলাকান্তের খাবারে আর্সেনিক মিশিয়ে তাকে স্লো পয়জন করতেন কবিতা এবং হিতেশ। এরফলে অসুস্থ হয়ে পড়েন কমলাকান্ত। ২৭ অগস্ট আন্ধেরির একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কমলাকান্তকে। কমলাকান্তর শরীরে আর্সেনিক এবং থালিয়ামের মাত্রা ছিল অস্বাভাবিক বেশি। রক্তের নমুনা দেখার পর সন্দেহ হয় হাসপাতালের চিকিৎসকদের। তাঁরা পুলিশকে খবর দেন। ১৯ সেপ্টেম্বর মারা যান কমলাকান্ত। পুরো ঘটনার তদন্তভার তুলে নেয় মুম্বইক্রাইমব্রাঞ্চ।
পুলিশের কাছে দাদার মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে অভিযোগ করেন কমলাকান্তের বোন কবিতা লালওয়ানি। এরপর শুরু হয় কমকান্তের স্ত্রী কবিতা এবং বন্ধু হিতেশ কে জেরা। লাগাতার জেরার মুখে ভেঙে পড়ে কবিতা এবং হিতেশ স্বীকার করেন পথের কাঁটা দূর করতেই তারা এই রাস্তা বেছে নিয়েছেন। এরপর গ্রেফতার করা হয় দুজনকেই। কবিতা এবং কমলাকন্তের ২০ ও ১৭ বছর বয়সী এক পুত্র এবং কন্যা সন্তান আছে। খুনের পদ্ধতি দেখে হতভম্ব মুম্বই পুলিশও।