পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: অমানবিকতা, নৃশংসতা, নিষ্ঠুরতার প্রায় সব সীমা অতিক্রম করে দিল মহারাষ্ট্রের এই নির্মম ঘটনা। নিজের ১৭ বছরের মেয়েকে বিয়ের মন্ডপ থেকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে প্রথমে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করে প্রমাণ লোপাট করতে দেহ পুড়িয়ে দিলেন বাবা। ঘটনায় মদদ জোগালেন কাকা।
দর্শকের ভূমিকা পালন করল মৃতার পরিবার। খুব আশ্চর্য হলেও সত্যি, এই নির্মম ঘটনাটি ঘটার সময় পরিবারের কেউ প্রতিবাদ জানায়নি। এমনকী থানায় অভিযোগও জানায়নি পরিবারের কোনও সদস্য। স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ দুইজনকে গ্রেফতার করে তদন্ত শুরু করেছে। মহারাষ্ট্রে এই ‘অনার কিলিং’ বা সম্মান রক্ষার্থে খুনের ঘটনার বীভৎসতায় শিউরে উঠেছে মানুষ।
জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের জালান তালুকের পিরপিম্পলগাঁও গ্রামের বাসিন্দা ওই ১৭ বছরের নাবালিকার সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার নিজের পরিবারের এক যুবকের। পরিবার তাদের সম্পর্ক মেনে নিতে অস্বীকার করলে ওই যুবকের সঙ্গে পালিয়ে যায় ওই নাবালিকা। মৃতা নাবালিকার নাম সূর্যকলা সন্তোষ সরোদে। এই সপ্তাহে শুরুতেই সে পালিয়ে গিয়েছিল।
পরে সূর্যকলার বাবা পছন্দের যুবকের সঙ্গেই তার বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিলে তারা বাড়ি ফিরে আসে। বাড়িতে এসেই বিয়ের প্রস্তুতিতে মেতে ওঠে নাবালিকা। সীমিত অতিথিরও আয়োজন করা হয়। কিন্তু এর পরেই ঘটে সেই বীভৎস ঘটনা। মন্ডপ থেকে টেনে হিঁচড়ে নাবালিকাকে নিয়ে যায় তার বাবা সন্তোষ সরোদে ও কাকা নামদেব সরোদে। তার পরেই গলায় গামছা দিয়ে গিঁট বেঁধে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। এর পর প্রমাণ লোপাট করতে দেহ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এই খুনকে আত্মহত্যার রূপ দিতে চেয়েছিল নির্যাতিতার পরিবার। গত মঙ্গলবারের ঘটনা।
স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ নির্যাতিতার বাবা ও কাকাকে গ্রেফতার করে। তিনদিনের জেল হেফাজতে রাখা হয়েছে দুজনকেই। ঘটনার আরও তদন্ত চলছে।