পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ‘অক্সফ্যাম ইন্ডিয়া’ সংস্থার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই সংস্থার বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ফরেন কন্ট্রিবিউশন (রেগুলেশন) বা বিদেশি অবদান বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।
বলা হচ্ছে, করোনার সময় থেকেই বিদেশি অনুদানের ক্ষেত্রে বেঁধে দেওয়া হয়েছিল কিছু নিয়ম-কানুন। অভিযোগ, তার পরও ‘অক্সফ্যাম ইন্ডিয়া’ ‘বেআইনি’ উপায়েই বিদেশি অনুদান নিয়ে চলেছে। আয়কর বিভাগের নজরে সম্প্রতি সংস্থার বেশ কিছু ই-মেলে অনিয়ম চোখে পড়ে। অলাভজনক সংস্থা মারফতই বিদেশ থেকে অনুদান নিয়ে চলেছে অক্সফ্যাম, এমনই অভিযোগ উঠছে। তারা বহু সংস্থার সঙ্গে আর্থিক লেনদেনে আইন–বহির্ভূতভাবে জড়িত বলে জানানো হচ্ছে।
২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে এ ধরনের লেনদেন নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু তারপরও অক্সফাম ইন্ডিয়া এ ধরনের লেনদেন চালিয়ে যাওয়ার কারণেই তদন্তের সুপারিশ করা হয়েছে বলে সূত্র মারফত জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
২০১০ সালের ফরেন কন্ট্রিবিউশন (রেগুলেশন)-এর আওতায় নথিভুক্ত ছিল ‘অক্সফ্যাম ইন্ডিয়া’। এর মেয়াদ ছিল ২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তারপর থেকে ২০২০ সালের ফরেন কন্ট্রিবিউশন (রেগুলেশন) অ্যামেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট চালু হয়েছিল। এই সংশোধিত বিধি অনুযায়ী কোনও সংস্থা, বিদেশ থেকে পাওয়া সহায়তা অন্য কাউকে স্থানান্তর করা যায় না।
দেখা গিয়েছে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চকে ১২,৭১,১৮৮ টাকা পেমেন্ট করেছিল। অক্সফ্যাম ইন্ডিয়া তাদের এফসিআরএ অ্যাকাউন্টের বদলে সরাসরি তার ফরেন কনট্রিবিউশন ইউটিলাইজেশন অ্যাকাউন্টে ১.৫০ কোটি টাকার বিদেশি তহবিল সংগ্রহ করেছে।
সূত্রের খবর, কমিশন হিসেবে সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চকে তাদের কর্মী বা সহযোগীদের মাধ্যমে অর্থ পাঠাত অক্সফ্যাম ইন্ডিয়া। টিডিএস ডেটাতেও এটা ধরা পড়েছে। দেখা গিয়েছে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চকে ১২,৭১,১৮৮ টাকা পেমেন্ট করেছিল। এরপর গত ফেব্রুয়ারিতে অক্সফাম ইন্ডিয়া আদলতের দ্বারস্থ হয়েছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লি হাইকোর্ট (অক্সফাম ইন্ডিয়ার ফরেন কন্ট্রিবিউশন (রেগুলেশন) অ্যাক্ট, ২০১০-এর অধীনে নিবন্ধন পুনর্নবীকরণের আবেদনের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিক্রিয়া চেয়েছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক যে আদেশ দিয়েছিল, তাকে চ্যালেঞ্জ করে সংশ্লিষ্ট অলাভজনক সংস্থা আদালতে যে পিটিশন দাখিল করেছিল, তার পরিপ্রেক্ষিতে কোর্ট নোটিশ জারি করে। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক তাদের আগের অবস্থানেই অনড় থেকেছে। অক্সফামের এফসিআরএ রেজিস্ট্রেশন রিনিউ করতে রাজি নয় মন্ত্রক।