পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ভূমধ্যসাগরে বিরোধপূর্ন কারিশ গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলনের বিষয়ে ইসরাইলকে সতর্ক করেছেন লেবাননের রাজনৈতিক ও সামরিক সংগঠন হিজবুল্লাহর মহাসচিব হাসান নাসরাল্লাহ। বলেছেন, ‘আমাদের চোখ কারিশ গ্যাসক্ষেত্রে তাক করে রেখেছি, আমাদের মিসাইলও কারিশ গ্যাসক্ষেত্রে তাক করে রেখেছি।’ ইসরাইল সরকার কারিশ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরুর আগে এ হুঁশিয়ারি দিয়েছে হিজবুল্লাহ। হিজবুল্লাহ মহাসচিব বলেন, ‘লেবাননি প্রতিরোধ আন্দোলনের দৃষ্টি ও মিসাইল এ মূহূর্তে কারিশ গ্যাসক্ষেত্রের উপর নিবদ্ধ। ইসরাইল, আমেরিকা, ইইউ সবাই জানে যে আমরা ফাঁকা বুলি ছুঁড়ি না। আমাদের কথার যথার্থতার বহু প্রমাণ এরইমধ্যে তারা পেয়েছে।’
উল্লেখ্য, ইসরাইল ও লেবাননের মধ্যে সমুদ্রসীমা নিয়ে চলমান বিরোধের কেন্দ্রে রয়েছে কারিশ গ্যাসক্ষেত্র। ভূমধ্যসাগরে অবস্থিত ওই গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন করে ইউরোপে রফতানির প্রস্তুতি হিসেবে ইসরাইল সরকার জুন মাসে সেখানে দুটি তেল-উত্তোলনকারী জাহাজ মোতায়েন করে। লেবানন সরকার এতে প্রবল আপত্তি জানালে মার্কিন মধ্যস্থতায় তেল আবিব ও বেইরুটের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা শুরু হয়। শুক্রবার ইসরাইল সরকার জানায়, ইসরাইলের জ্বালানিমন্ত্রক আনুষ্ঠানিকভাবে লন্ডনভিত্তিক হাইড্রোকার্বন কোম্পানি এনার্জিএনকে কারিশ গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলনের লাইসেন্স হস্তান্তর করেছে।
ইসরাইল আরও বলেছে, কারিশ থেকে গ্যাস উত্তোলনের পথে প্রথম ধাপ হল গ্যাসক্ষেত্রটিকে ইসরাইলের পাইপলাইন নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করা। চুক্তি অনুযায়ী, ২০ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার কারিশ থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু করবে এনার্জিএন। এদিকে, হিজবুল্লাহ মহাসচিব বলেন, ‘লেবানন যে তীব্র অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে সেখান থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হল নিজেদের ভূখণ্ড ও জলসীমায় থাকা তেল ও গ্যাস উত্তোলন। লেবাননের প্রাকৃতিক সম্পদ নিয়ে ছিনিমিনি খেলার সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না।’