পুবের কলম প্রতিবেদকঃ আজ বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। প্রতি বছর ৩১ মে তারিখে বিশ্বজুড়ে পালন করা হয়। এছাড়াও দিবসটির উদ্দেশ্য তামাক ব্যবহারের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব এবং স্বাস্থ্যের উপর এর নেতিবাচক প্রভাবের উপর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করানো। যা বর্তমানে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর কারণ হিসেবে বিবেচিত হয়। পরোক্ষ ধূমপানও মানুষের শরীরে পরোক্ষাভাবে কুপ্রভাব ফেলে।
প্রত্যেক বছর ৩১ মে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালন করা হয়। তামাক সেবনের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে এই দিন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) দ্বারা ধূম না করার জন্য প্রচার করা হয়। গবেষণার রিপোর্ট বলছে, তামাক সেবন শুধু যে আমাদের আভ্যন্তরীণ অঙ্গের ওপরেই প্রভাব ফেলে তা নয়, এটি আমাদের বাহ্যিক চেহারাতেও বেশ প্রভাব ফেলে। অতিরিক্ত ধূমপান আমাদের ত্বক, চুল এবং চোখের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। প্রথমে একজন ব্যক্তি পাঁচ দিনে একবার ধূমপান করে। এরপর একদিনে পাঁচবার ধূমপান করে ।ধীরেধীরে এই অভ্যাস বেড়েই যায় এবং ছেড়ে দেওয়া যায় না।
কিভাবে ধূমপান ত্যাগ করবেন
ধূমপান একটি আসক্তির মতো। এখান থেকে বেরিয়ে আসতে চাইলে নিম্নোক্ত পন্থাগুলো ব্যবহার করা যেতে পারে। মেডিট্রাস্ট হেলথকেয়ার এর ডাইরেক্টর ড. সত্যম ভাস্কর জানাচ্ছেন ধূমপান কীভাবে ত্যাগ করবেন।
ড. সত্যম জানান, ধূমপান সংক্রান্ত কোন জিনিস আপনার আশেপাশে রাখবেন না। আপনার পকেট , গাড়ি, ঘর বা অফিস কোথাও সিগারেটের প্যাকেট যেন না থাকে তা নিশ্চিত করুন। সিগারেট ছাড়াও, লাইটার, দেশলাই এবং এশট্রেকেও দূরে রাখুন বা সরিয়ে দিন। যদি আপনার কাছে সিগরেট না থাকে তাহলে আপনাকে বাইরে দোকানে বা বাজার পর্যন্ত যেতে হবে। আপনি বার-বার ধূমপান করতে চাইলে বার বার বাজার যেতে মন চাইবে না।স্বাভাবিকভাবেই ধূমপান কমে যাবে এতে।
নিয়মিত শরীরচর্চা করুন
গভীর শ্বাস, ধ্যান এবং যোগব্যায়ামের মতো কৌশলগুলি চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে সাহায্য করতে পারে, যা তামাক সেবনের জন্য সাধারণ ট্রিগার। এগুলি আপনার সামগ্রিক সুস্থতার উন্নতি করতেও সাহায্য করতে পারে। নিয়মিত শরীরচর্চা করলেও ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করা সম্ভব ।
কিছু চিবোতে পারেন
সিগারেট ছাড়ার পর মুখে চুইংগাম কিংবা আদা চিবোতে পারেন। তাহলে ধূমপানের প্রতি আকর্ষণ কমে আসবে। এছাড়াও যে সময়টিতে আপনার ধূমপান করতে ইচ্ছা করবে সে সময়ে রাস্তায় হাঁটুন। তাহলে ধূমপানের চাহিদা থাকবে না।