পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ হিমন্ত বিশ্বশর্মা মানেই বিদ্বেষ ভাষণ। বয়ানবাজিতে তিনি যোগীকে টেক্কা দিয়ে দেশজুড়ে নয়া পরিচয় তৈরি করতে চাইছেন। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে তুষ্ট করার গুরু দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন একদা কংগ্রেস নেতা তথা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত। অন্য দল থেকে এসে যারা গেরুয়া দলে ভিড়ের তাদের অনেকেই এই কায়দাতে সংঘকে এবং বিজেপিকে খুশি করতে চান।
খোলা মাঠে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বারবার আস্ফালন করেছেন হিমন্ত । এবার ৫৩ জনকে বেমালুম ‘জেহাদি’ বলে বিধানসভায় চালিয়ে দিলেন হিমন্ত । কে বিজেপি বিধাযকের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি। অসমে এ পর্যন্ত বাংলাদেশের একজন সহ মোট ৫৩ জন ‘জিহাদি’ গ্রেফতার হয়েছে।
শনিবার বিধানসভায় একথা জানিয়েছে হিমন্ত সরকার। অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন বাংলাদেশ থেকে আরও পাঁচজন অভিযুক্ত ‘জিহাদি’ পলাতক। ‘জিহাদি’, ‘মুসলিম’ কিংবা ‘মাদ্রাসা’র মত বিষয়গুলিকে বহু দিন ধরেই রাজনীতির তাস করেছেন হিমন্ত। যেকোনো সঙ্কটে এই ইস্যু দিয়ে তিনি ‘হিজ মাস্টার’দের খুশি করতে চান। হিমন্ত যে সুরে কথা বলেছেন, তাঁর পূর্বসূরি সোনোওয়াল আরএসএসের ঘরের লোক হয়েও এমনভাবে বিদ্বেষের কথা বলেননি।
বিধানসভায় বিজেপি বিধায়ক তেরাস গোওয়ালার প্রশ্নের জবাবে হিমন্ত বলেছেন, ২০২২ সালের মার্চ থেকে রাজ্যে মৌলবাদীদের কার্যকলাপের ন’টি মামলা দায়ের হয়েছে।
বরপেটা, বোঙ্গাইগাঁও, মরিগাঁও, ধুবরি, গোয়ালপাড়া, তামুলপুর এবং নলবাড়ি জেলা মৌলবাদী শক্তির কেন্দ্রস্থল বলে দাবি করেন হিমন্ত। তিনি আরও বলেন, এই মামলাগুলোর একটির তদন্ত করছে এনআইএ। তারা আদালতের সামনে চার্জশিটও দিয়েছে।
বলা নেই কওয়া নেই বাংলাদেশী বলে প্রায়ই অসমের মুসলিম ভূমিপুত্রদেরও নিশানা করা হচ্ছে। হিমন্তের লক্ষ্য হল ‘বাংলাদেশি’ অভিযোগ তুলে মুসলিমদের হেনস্থা করা। এদিনও তিনি বলেন, বরপেটায় একজন বাংলাদেশী মাদ্রাসা শিক্ষক মাদ্রাসা পড়ুয়াদের উস্কানি দিচ্ছিলেন। তিনি ছাড়াও আরও পাঁচন বাংলাদেশী বিভিন্ন মাদ্রাসায় পড়ুয়াদের উস্কানি দিচ্ছিলেন। তাদের পাকড়াও করা হয়েছে।