পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ষোড়শী নাবালিকার সঙ্গে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল ৩২ বছরের যুবকের। কোনওভাবে সেই খবর পৌঁছে যায় শিশু কল্যাণ দফতরে। এই বিয়ে হতে পারে না বলে জানিয়ে দেন আধিকারিকরা। সেখানেই ঘটে যায় রক্তারক্তি ঘটনা। রাগে উন্মত্ত হয়ে যায় হবু বর প্রকাশ। নাবালিকার বাড়িতে এসে প্রথমে তার বাবাকে লাথি মারে। নাবালিকার মাকে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করে। তারপরে সে মীনাকে ঘরে থেকে টেনে বের করে নিয়ে যায়। বাঁচার চেষ্টা করলে প্রকাশ মীনার শিরশ্ছেদ করে। ওই কাটা মাথাটি যাওয়ার সময় সঙ্গে নিয়ে সে। ভয়ঙ্কর এই ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের কোডাগু জেলার সোমওয়ারপেটের মুতলু গ্রামে। অভিযুক্ত যুবকের নাম প্রকাশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ৯ মে বিয়ের কথা ছিল। শিশু কল্যাণ বিভাগের কর্মকর্তারা মেয়েটির বাবা-মাকে বিয়ে বাতিল করতে রাজি করায়। তার পরেই এই বর্বরোচিত ঘটনা ঘটে। ঘটনার দিন বিকেল ৫টা নাগাদ প্রকাশ মেয়েটির বাড়িতে ঢুকে নাবালিকাকে টেনে হিঁচড়ে ঘর বের করে মাথা ধড় থেকে আলাদা করে দেয়। সম্প্রতি রাজ্য বোর্ডের পরীক্ষায় ওই নাবালিকা উত্তীর্ণ হয়েছিল। সে পরীক্ষায় ৫২ শতাংশ নম্বর পায়। অভিযুক্তর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। ঘটনায় আহত হয়েছেন নাবালিকার মা ও বাবা, দুজনেই হাসপাতালে চিকিৎধীন।
একজন পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। আমাদের বলা হয়েছে যে সমাজকল্যাণ বিভাগের শিশু হেল্পলাইন আধিকারিকরা বাগদান বন্ধ করে দিয়েছে। তবে আমরা এখনও খুনের নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য জানি না। (২১৫)