দেবশ্রী মজুমদার, শান্তিনিকেতন: বিশ্বভারতীর মতো জায়গায় উপাচার্য হওয়ার মতো যোগ্যতা ওঁর নেই বলে উপাচার্যকে তীব্র কটাক্ষ করেন পূর্ণেন্দু বসু। শান্তিনিকেতনে এসে পৌষমেলা না করার জন্য উপাচার্যকে দায়ী করে তার কঠোর সমালোচনা করলেন প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, খুব ভালো লাগছে। একটাই কথা বলতে চাই, মানুষের ঐতিহ্যে ঘা লাগলে মানুষ যে তার ঐতিহ্য ধরে রাখতে চায়, ঐতিহ্যহানিকর কোনো কাজে যে তার সমর্থন থাকে না। আজকের এই মেলা তার প্রমাণ দিচ্ছে। শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্র অনুরাগীদের যে উৎসাহ, সেখানে জল ঢেলে দিয়ে একটি প্রাতিষ্ঠানিক প্রধান সে যদি মনে করে সে যা ভাববে শান্তিনিকেতন তাই বলবে,শান্তিনিকেতনের মানুষ প্রমাণ করে দিয়েছে, আমরা তোমার কর্তৃত্ব মানি না। আমরা স্বয়ম্ভর। আমরা আমাদে র কাজ করে নিতে পারবো। এই মেলা এক এক কথায় গণমেলা। এর ঐতিহ্য যায় থাক না কেন, এটা একটা গণমেলা অর্থাৎ গণ উদ্যোগ থেকে যে মেলা। আজকে বাংলা সংস্কৃতি মঞ্চ, এখানকার ব্যবসায়ী ভাইয়েরা যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তাতে সবাই আসতে বাধ্য হচ্ছে, এটাই সব থেকে বড়ো জয়।
উপাচার্য মেলা না হওয়ার দায়, রাজ্য সরকারের উপর চাপানোর প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “দেখুন, একটা কথায় বলতে পারি, উনাকে কে উপাচার্য করেছে আমি জানি না। বিশ্বভারতীর মতো জায়গায় উপাচার্য হওয়ার মতো যোগ্যতা উনার নেই। এছাড়া উনার সম্পর্কে দ্বিতীয় কোনো কথা বলতে চাই না।
আগামী দিনে একইভাবে বিকল্প পৌষমেলা হবে কিনা সেই প্রসঙ্গে প্রাক্তন মন্ত্রী বলেন, সেটা মানুষ ঠিক করবে, আমি আপনি কেউ না। এদিন প্রাক্তন মন্ত্রীর সঙ্গে আসেন দোলা সেন। তিনিও একইভাবে উপাচার্যকে কঠাক্ষ করে বলেন, এই মেলা মানুষের মেলায় পরিণত হয়েছে। উপাচার্য জবাব পেয়ে গেছেন। মেলার শেষে পূর্ব মেদনীপুরের পিংলার পটুয়াদের পটখেলা দেখেন তিনি।