পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: এখনও পর্যন্ত কেউ অভিযোগ জানাতে আদালতে আসেনি। বুলডোজার চলছে মুসলিমদের বসত বাড়ি দোকান, ধর্মস্থান ও সম্পত্তিতে। পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা শুরু করে দিল হরিয়ানার খাট্টার সরকারকে সংযত করার জন্য। সোমবার এই সুয়োমোটো মামলা একদিকে বিরত রাখল বুলডোজার বাহিনীকে অপরদিকে মারাত্মক এক প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিল ভারতীয় নাগরিক সমাজকে।
একটি রাজ্য বা রাষ্ট্র ‘এথনিক ক্লিনজিং’ বা জাতি নিধনের কাজে কীভাবে লিপ্ত হতে পারে। বেছে বেছে একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়কে টার্গেট করছে হিন্দুত্ববাদী কট্টরগোষ্ঠীর সমর্থক ও দুষ্কৃতীরা আর সেখানে রাজ্য সরকার একইভাবে এক বিশেষ সম্প্রদায়কে টার্গেট করছে কেন? প্রশ্ন খোদ হাইকোর্টের। পঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টের মাননীয় দুই বিচারপতি জিএস সানধাওয়ানিয়া এবং বিচারপতি হরপীত কাউর জীয়ান মারাত্মক প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে হরিয়ানার বিজেপি সরকারের কাছে জানতে চাইল বিগত দুই সপ্তাহে কতগুলি বিল্ডিং-এ বুলডোজার চালানো হয়েছে তার বিস্তারিত বিবরণ এফিডেবিট আকারে আদালতে পেশ করুক।
আর সেইসঙ্গে জানিয়ে দিক বুলডোজার চালানোর আগে আইন মেনে কোনও নোটিশ দেওয়া হয়েছে কিনা পরবর্তী শুনানি ১১ আগস্টের মধ্যে সরকারকে জানাতে হবে নূহ এবং গুরুগ্রামে মোট কতগুলি এবং কি কি বিল্ডিং ভেঙে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। হাইকোর্টের এই রায় মৃতসঞ্জীবনী বলে মনে হবে শুধু হরিয়ানা নয় বুলডোজারের বিভীষিকা প্রত্যক্ষ করা মানুষদের কাছেও।
হাইকোর্টের এই ঐতিহাসিক রায় তথা হরিয়ানা সরকারের কাছে নোটিশ এখানে অবশ্যই উল্লেখযোগ্য, সিডব্লিউপি-পিআইএল-৬৮-২০২৩ কোর্ট অন ইটস ওন মোশান ভার্সাস স্টেট অব হরিয়ানা উপস্থিত মি. বলদেব আর মহাজন এজি, হরিয়ানা, মি. দীপক সারের ওপল, অতিরিক্ত এজি হরিয়ানা, মিস শ্রুতি জৈন সিনিয়র ডিএজি হরিয়ানা।