পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: মণিপুরের পর এবার হরিয়ানা। হিংসার আগুনে জ্বলছে হরিয়ান। দুইদিন পরেও অশান্তির চিহ্ন স্পষ্ট চারদিকে। দোকানে অগ্নি সংযোগ, ভাঙচুর, একে অপরের বিরুদ্ধে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় রণক্ষেত্রের আকার নেয় হরিয়ানার নুহ জেলা। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন একজন ইমাম, দুই জন হোর্ম গার্ড সহ ৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত প্রায় ৭০। এর মধ্য রয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। মোতায়েন করা হয়েছে ২০ কোম্পানি বাহিনী। ঘটনায় ৪১টি এফআইআর দায়ের হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ১১৬ জনের।
মঙ্গলবার গুরুগ্রামের এসিপি বরুণ কুমার দহিয়া বলেন, সংঘর্ষ ঘিরে একাধিক ভুয়ো তথ্য প্রচারিত হচ্ছে। এই সমস্ত তথ্যে কান দেবেন না। ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়নি। যান চলাচলেও কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি। কোনও সংঘর্ষের খবর পেলে ১১২-এই নম্বরে যোগাযোগ করুন।”
সোমবার থেকে অশান্তি ছড়ায় নুহ জেলায়। মঙ্গলবার নুহ থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে বাদশাহপুরেও অশান্তি শুরু হয়। এক ধর্মীয় মিছিলকে কেন্দ্র করে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় ২৫০০ মানুষ প্রাণ বাঁচাতে একটি মন্দিরে আশ্রয় নেয়। এর মধ্যে ছিল মহিলা ও শিশুরা। অপরদিকে গুরুগ্রামে নূহের পর উত্তপ্ত হয় বাদশাপুর। ১৪টি দোকান ভাঙচুর করা ছাড়াও সাতটি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার বাইক ও এসইউভি করে প্রায় ২০০ জনের একটি দল আসে। বিশেষ করে বিরিয়ানির দোকানগুলিতে ভাঙচুর চালায়। ৬৬ নম্বর সেক্টরে, সাতটি দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। বাদশাপুরে মসজিদের ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে থাকে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাদশাপুর বাজার।