পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: হিন্দু ভাবাবেগে আঘাত করার অভিযোগে এবার আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের বিরুদ্ধে এফআইর দায়ের করলেন কট্টর হিন্দুত্ববাদী সন্দীপ দেও। সন্দীপ হিন্দুত্ববাদী লেখক। সঙ্গে চালান একটি ইউটিউব চ্যানেলেও। আরএসএসের মুখপত্র অর্গানাইজার ও পাঞ্চজন্যকে সম্প্রতি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন ভাগবত।
সেখানে তিনি বলেছিলেন, মহাভারতের মগধরাজ জরাসন্ধের দুই সেনাপতি ছিলেন এলজিবিটিকিউ(সমকামী) সম্প্রদায়ের। তাতেই চটেছেন সন্দীপ। কৃষ্ণ সম্পর্কে ভাগবত ওই সাক্ষাৎকারে যা বলেছিলেন, তা নিয়েও সন্দীপ আপত্তি তোলেন। ভাগবত বলেছিলেন, ‘‘জরাসন্ধের দুই সেনাপতি ছিলেন ‘হংস’ ও ‘ডিম্বাক’। তাঁদের মধ্যে খুবই বন্ধুত্ব ছিল।
কৃষ্ণ রটিয়ে দিয়েছিলেন, ডিম্বাক মারা গিয়েছেন। অমনি হংসও আত্মহত্যা করেন। এইভাবে মগধরাজের দুই সেনাপতির হাত থেকে রেহাই পেয়েছিলেন কৃষ্ণ।’’ কেবল সন্দীপ নন, ট্যুইটারের হিন্দুত্ববাদীরা অনেকেই ভগবতের মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন। মহাভারতের দুই চরিত্র যে সমকামী ছিলেন একথা মানতে হিন্দুত্ববাদীরা নারাজ। তাদের বক্তব্য মহাভারতের নাম করে ভাগবত হিন্দুদের আবেগে আঘাত করেছেন।
সমকামীদের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ভাগবত বলেছিলেন, ‘এটা এমন নয় যে, এই সব মানুষজন আমাদের দেশে কখনও ছিল না। যতদিন মানুষ আছে, ততদিন এই ধরনের মানুষও থাকবে। যেহেতু আমি পশুদের ডাক্তার, আমি জানি যে এই ধরনের বৈশিষ্ট্য প্রাণীদের মধ্যেও পাওয়া যায়। এটি জৈবিক জীবনের একটি পদ্ধতি।’
কট্টরপন্থী ওই লেখক বলেন , আরএসএস সমকামী নিয়ে নিজেদের মত ব্যাক্ষা করছে, অথচ নাম নিচ্ছে মহাভারতের। দেখে মনে হচ্ছে সংঘ প্রধানের এমন মন্তব্যের পিছনে পশ্চিমাদের হাত রয়েছে। তারাই পিছন থেকে খেলছে। সম্ভবত সে কারণেই বৃহত্তর হিন্দু সমাজ এই ইস্যুতে চুপ করে রয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমি আশা করব সংঘ প্রধান নিজে এবং ‘পাঞ্চজন্য’ এবং ‘অবজারভার’ এর সম্পাদক এমন মন্তব্য প্রকাশের জন্য সনাতন বৈদিক সমাজের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবেন।