পুবের কলম প্রতিবেদক: হরিদেবপুরে অটোয় বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্র রাখার ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এদিন পুলিশ হরিদেবপুরের ঘটনায় ভৈরব বসু, স্বপন মিত্র, অজিত দাস ও বাবুল দলুই নামে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ব্যবসায়ীক প্রতিদ্বন্দ্বীকে ফাঁসাতেই ওইসব বোমা রাখা হয় বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসছে। বিশ্বজিত বিশ্বাস নামে ওই ব্যসায়ীকে বিপাকে ফেলতে ওই পরিকল্পনা করে ভৈরবরা। কাজ করতে স্বপনকে টাকা দেয় ভৈরব। টাকা পেয়ে অজিত দাসের কাছে অস্ত্র কেনে স্বপন।
এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বোমা রাখার অভিযোগে ওই ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। টানা ৫ ঘণ্টা ধরে ওই ফুটেজ খতিয়ে দেখে সাফল্য পেল পুলিস। ফুটেজ দেখে নজরে আসে একটি বাইক ও তার নম্বর প্লেট। সেই নম্বরের সূত্র ধরে প্রথমে খোঁজ পাওয়া যায় স্বপন মিত্রের। স্বপন মিত্রকে বাইক চালাতে দেখা যায়। তার পেছনে বসেছিল বাবলু দলুই। বাইকে থেকে বোরখা পরে নেমে প্লাস্টিকের একটি প্যাকেটে ভরে অটোতে বোমা ও বন্দুক রেখে আসে বাবলু।
জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, ওই দুই জনকে জেরা করে বেরিয়ে আসে ভৈরব বসুর নাম। ভৈরব বসু ফাঁসাতে চেয়েছিল বিশ্বজিৎ বিশ্বাসকে। তার ফাইনান্সের ব্যবসা। ওই বিশ্বজিতের গ্যারেজে একটি অটোর মধ্যে বোমা রাখার ব্যবস্থা করে ভৈরব। উদ্দেশ্য ছিল ওই বোমা ধরা পড়লে যাতে বিশ্বজিতের ইজ্জত নষ্ট হয় ও তার গ্যারেজ বন্ধ হয়ে যায়। এদের সবাইকে জেরা করে খোঁজ মেলে অস্ত্র কারবারি অজিত দাসের।
গত এক দশক ধরে দক্ষিণ শহরতলি, ডায়মন্ডহারবার, বাসন্তী, ক্যানিং ও ভাঙ্গর এলাকায় অস্ত্র সরবারহ করে আসছে। পুলিসের খাতায় সে একজন দাগী অপরাধী। এই অজিতের সন্ধান ভৈরবকে দিয়েছিল বাবলু দলুই। বাবুল আবার স্বপন মিত্রের পরিচিত।
উল্লেখ্য, গতকাল হরিদেবপুর এলাকায় একটি চাইল্ড হোমের পাশের গ্যারেজে দাঁড়িয়ে থাকা একটি অটোতে ১৯টি তাজা বোমা, একটি বন্দুক ও কার্তুজ পাওয়া য়ায়। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তদন্ত শুরু হয়।