বিশেষ প্রতিবেদন: এখন আর দু’বেলা পেট ভরা খাবারের আশা করেন না গাজার বাসিন্দারা। শুধুমাত্র সেহরি ও ইফতারির জন্য একটু ঘাস-পাতা পেলেই চলে যায় তাঁদের! সম্প্রতি ফিলিস্তিনিদের ইফতারি করার এই ছবি দ্রুত গতিতে ভাইরাল হয়েছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, এক ফিলিস্তিনি পরিবার সারাদিন রোযা রেখে ইফতারের সময় ঘাস খাচ্ছে। ছবিটি দেখার পর মুসলিমরা ব্যথিত হয়েছেন। ফিলিস্তিনিদের জন্য দোয়া করার পাশাপাশি অনেকে ফিলিস্তিনে ত্রাণ সহায়তা পাঠানোরও চেষ্টা করছেন। আবার অনেকের মনে প্রশ্ন জাগছে, ক্ষুধার তাড়নায় ফিলিস্তিনিরা যে ঘাস খাচ্ছেন তাতে তাদের ক্ষতি হচ্ছে কিনা? ঘাস বিষাক্ত নয়, এটি মানুষের খাওয়ার উপযোগী। কিন্তু এটি শরীরের জন্য ভালো নয়। পানি আর লিগনিনের সমন্বয়ে তৈরি ঘাস। লিগনিন এমন একটি প্রোটিন যেটি মানুষ হজম করতে পারে না। গাজার এক পরিবার জানিয়েছে, ঘাস তুলে সেগুলো বাধ্য হয়ে রান্না করে খেতে হচ্ছে তাঁদের। শিশুরাও বাড়ির বড়দের সঙ্গে লেবু ও মশলা দেওয়া ঘাসের স্যুপ খাচ্ছে। এক ভিডিয়োয় দেখা গেছে, গাজার শিশুরা ঘাস সংগ্রহ করছে। এক ফিলিস্তিনি মা জানান, তাঁর শিশু খুবই দুর্বল ও ডায়ারিয়ায় ভুগছে। বেশিরভাগ শিশুই হলুদ হয়ে গেছে। ময়লা পানি ও ঘাস খাওয়ার কারণেই এমনটি হচ্ছে। এর আগে গাজাবাসীকে পশু-পাখির খাবার গুঁড়ো করে রুটি করে খেতে দেখা গিয়েছে। এই প্রথম তীব্র খাদ্যাভাবের মধ্যে বাধ্য হয়েই রমযান মাসে ঘাস খেতে হচ্ছে ফিলিস্তিনিদের। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফিলিস্তিনের জন্য যে ত্রাণ পাঠানো হয়েছে তা চাহিদার তুলনায় অত্যন্ত কম বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। এদিকে, ইসরাইলও ত্রাণবাহী ট্রাক ও ত্রাণের রাস্তায় হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনিদের অনাহারে মারতে চাইছে।