পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: শান্তি ভঙ্গের চেষ্টা চলছে কর্ণাটকের মান্ড্যায়। শয়ে শয়ে গ্রামবাসী ঘর থেকে বেরিয়ে এসে পদযাত্রা শুরু করেছে। সঙ্গে চলছে ‘জয় শ্রী রাম’ এর স্লোগান। কেরাগোডু গ্রামে পতাকা জাতীয় পতাকা উত্তোলনের জন্য প্রশাসনের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু গত ১৯ জানুয়ারি জাতীয় পতাকার বদলে ১০৮ ফুট লম্বা দন্ডের উপর গেরুয়া রঙের হনুমান ধ্বজা উত্তোলন করা হয়। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়। দলিত সংঘর্ষ সমিতির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে প্রশাসনের কাছে নালিশ জানানো হয়। পুলিশ এসে সেই পতাকা নামিয়ে দিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে দেয়। তাতেই চটে যায় অনেকে। ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়। পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। তাতে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে যায়।
সোমাবার সকাল সকাল শয়ে শয়ে গ্রামবাসী জয় শ্রী রাম স্লোগান দিতে দিতে পদযাত্রা শুরু করে। প্রায় ৬ কিলোমিটার হাঁটে তারা। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়াকে হিন্দু বিরোধী বলে দেগে দেওয়া হয়। সাধারণ মানুষকে ধ্বজা নিয়ে উসকাচ্ছে বিজেপি ও জেডিএস বলে দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া। কারণ গ্রামবাসীরা যখন প্রতিবাদ করছিলেন। তখন তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বিজেপি ও ডেডিএসের তাবড় নেতারা।
লোকসভা ভোটের স্বার্থে কর্নাটকের ধর্মনিরপেক্ষ ছবিকে নষ্ট করার চেষ্টা করছে বিজেপি ও জেডিএস বলে মত, সিদ্ধারামাইয়ার।
‘হিন্দু বিরোধী’ মন্তব্যের জবাবে সিদ্ধারামাইয়া বলেন, ‘আমি হিন্দু। আমি সব ধর্মের মানুষকে ভালোবাসি। ধর্মনিরপেক্ষতা মানে কি? সংবিধানে কি বলা আছে? সহাবস্থান এবং সহনশীলতা। আমি এটা বিশ্বাস করি’।
সিদ্দারামাইয়া বলেন, ‘বিজেপি তাদের এজেন্ডা প্রচারের জন্য অপ্রয়োজনীয়ভাবে অশান্তি করছে। ওই জায়গায় জাতীয় পতাকা বা কন্নড় পতাকা উত্তোলনের অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। আমরা কোনও পতাকার বিরোধী নই। কাল যদি কেউ জেলা প্রশাসক এর অফিসের সামনে গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করতে চায়, তার অনুমতি নিশ্চয়ই দেওয়া হবে না। যে পতাকার জন্য অনুমতি নেওয়া হয়েছিল সেটাই উত্তোলন করা উচিত ছিল। সেই কারণেই জেলা প্রশাসন ওই পতাকা সরিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছিল।
উল্লেখ্য, অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধনের পর থেকে গোটা দেশে নতুন করে উগ্র হিন্দুত্ববাদের জোয়ার বইয়ে দিয়ে লোকসভায় গেরুয়া ফসল ঘরে তুলতে চাইছে বিজেপি। তাই বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোর পর এবার কংগ্রেস শাসিত কর্ণাটকেও ধর্মের উস্কানি চলছে।