পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: হালাল সার্টিফিকেট দিতে গিয়ে যে অর্থ রোজগার হয়, সেই টাকা সন্ত্রাসী কার্যকলাপে ব্যবহার করা হয়, এমনটা বললেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি বিধায়ক নিতেশ রানে।
তিনি বলেন, যেভাবে উত্তরপ্রদেশে হালাল খাবার নিষিদ্ধ করেছে যোগী সরকার, সেইভাবেই মহারাষ্ট্রেও বন্ধ হোক হালাল পণ্যের বিক্রি।
ওই বিজেপি বিধায়কের মতে, হালাল, জিহাদ, লাভ জিহাদ চিন্তার বিষয়। হালাল সার্টিফিকেট দিতে গিয়ে যে অর্থ সংগ্রহ হয়, তা সন্ত্রাসবাদে ব্যবহার করা হয়। হিন্দু ধর্মের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয় এসব। এসবের প্রমাণ ও আছে তাদের কাছে। তাই যেভাবে উত্তরপ্রদেশে হালাল পণ্য নিষিদ্ধ হয়েছে সেই ভাবে মহারাষ্ট্রেও বন্ধ হওয়া উচিত। তিনি এই নিয়ে সরব হবেন।
ওই বিজেপি নেতা বলেছেন, ‘দু্টি সংস্থা হালাল সার্টিফিকেট দেয়। আর সেই দুটিই রয়েছে মহারাষ্ট্রে। এই বিষয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্য ও উপমুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখব আমি।’
উল্লেখ্য, গত ১৮ নভেম্বর হিন্দুত্বের রাজনীতিতে হাওয়া দিতে উত্তরপ্রদেশে সব ধরণের হালাল পণ্য ও খাবারের বিক্রি, সংরক্ষণ, উৎপাদন, বিতরণ বন্ধ করিয়ে দিয়েছে যোগী আদিত্যনাথের বিজেপি সরকার।
কিন্তু হালাল খাদ্যে সমস্যাটা কোথায়? এর জবাবে সেখানকার ফুড কমিশনার বিজ্ঞপ্তিতে লিখেছিলেন, জনস্বাস্থ্যের কথা ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। হালাল খাদ্য জনস্বাস্থ্যের কি ক্ষতি করে তার জবাব অবশ্য দেওযার প্রযোজন বোধ করেনি উত্তরপ্রদেশের বিজেপি সরকার।
বাবরি, জ্ঞানভাপী, ল্যান্ড জিহাদ, লাভ জিহাদ, কেরালা স্টোরি, বিরিয়ানি জিহাদ করে ক্লান্ত উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা কোনও ইস্যু না পেয়ে এবার হালাল খাদ্যের পিছনে পড়েছে বলে মনে করছে সমাজের একাংশ।