মক্কা, ১৩ জুন: লাব্বাইক, আল্লাহুম্মা লাব্বাইক। আল্লাহর মেহমানদের ধ্বনিতে গমগম করছে মক্কা। রসুল সা.-এর স্মৃতিবিজড়িত মক্কা-মদিনা, কাবা ঘর ছুঁয়ে দেখার সৌভাগ্য অর্জন করছেন প্রায় ১৫ লক্ষ মুসলিম ও মুসলিমা। এ বছর ইরাকের ১০৩ বছরের এক মহিলা যেমন হজে গেছেন তেমনই ১৩০ বছর বয়সি এক আলজেরিয়ান মহিলাও নিজেকে দমিয়ে রাখতে পারেননি। পৌঁছে গেছেন পবিত্র কাবা শরীফ চত্বরে। আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা ও ঈমান তাকে এই কাজে উদ্বুদ্ধ করেছে। সৌদি আরবে হজ করতে গিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছেন আলজেরিয়ার এই মহিলা। তার নাম সারহৌদা তিতি।
আলজেরিয়ার ১৩০ বছর বয়সী এ নারী চলতি বছরের ‘সবচেয়ে বয়স্ক’ হজযাত্রী হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন। এই বয়সেও হজ পালনে গিয়ে বিশ্বজুড়ে নজর কেড়েছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা চলছে তাকে নিয়ে। একজন লিখেছেন, তার মুখের ‘নূর’ লক্ষ করুন। আল্লাহর অফুরন্ত রহমত লাভ করেছেন তিনি। আল্লাহ সুবহানুতায়ালা তাকে নিরাপদে রাখুন। কেউ কেউ তাকে বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ মানুষ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
সৌদি আরবে পৌঁছানোর পর সারহৌদাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান স্থানীয় কর্মকর্তারা। এছাড়া সবচেয়ে বয়স্ক হজযাত্রী হিসেবে বিশেষভাবে সারহৌদার আগমন উদযাপন করেছে সৌদি এয়ারলাইনস। কারণ সৌদি এয়ারলাইনসে করেই হজে যান সারহৌদা। সৌদিয়া গ্রুপ তাদের অফিশিয়াল এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে এ সংক্রান্ত তথ্যও শেয়ার করেছে। হজ পালনে প্রবীণ এই নারীর দৃঢ়তা সবাইকে মুগ্ধ করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার হজযাত্রার প্রশংসাও করা হয়।
এদিকে, সবচেয়ে বয়স্ক হজযাত্রীকে নিয়ে যখন আলোচনা, ঠিক সেসময় সৌদি আরবের মক্কায় ‘ছাদ থেকে পড়ে’ ইয়াহিয়া মুহাম্মাদ রামাদান নামে এক শিশু হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর প্রকাশ। এবার বাবা-মায়ের সঙ্গে হজ পালন করার কথা ছিল ইয়াহিয়ার। এবারের হজ মৌসুমে মারা যাওয়া সবচেয়ে কমবয়সী হজযাত্রী ইয়াহিয়া মুহাম্মদ রামাদান। তার বাড়ি মিশরের কাফর আল শেখ প্রদেশে। তবে কাজের সুবাদে তার বাবা সৌদি আরবে থাকেন। কয়েকদিন আগে ইয়াহিয়ার মা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইয়াহিয়ার ইহরাম পরা একটি ছবিও পোস্ট করেন, যেটি মন কেড়েছিল নেটিজেনদের। পরে ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ ভাইরাল হয়।