মুজফ্ফরনগর: ক্ষমা চেয়েও মিলল না রেহাই! শেষমেশ গ্রেফতারই হতে হল বিখ্যাত কেশ-বিশেষজ্ঞ জাভেদ হাবিবকে।
“জল নেই তো কী হয়েছে! নিজের স্যালাইভা ব্যবহার করুন”, একটি ভিডিয়োতে সম্প্রতি এই কথা বলতে শোনা গিয়েছিল বিখ্যাত কেশ-বিশেষজ্ঞ জাভেদ হাবিবকে। শুক্রবার তাঁর নামেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশের পক্ষ থেকে একটি এফআইআর দায়ের করা হল। অভিযোগ, এক মহিলার হেয়ার স্টাইলিং-এর সময় তাঁর চুলে থুতু লাগিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবারই উত্তরপ্রদেশের মুজফফরনগরে গত ৩ জানুয়ারি হওয়া ওই ওয়ার্কশপের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, মনসুরপুর থানায় অভিযোগটি করেছেন বারাউত শহরের বাসিন্দা পূজা গুপ্তা। অভিযোগ, ওয়ার্কশপ চলাকালীন তাঁর চুলেই থুতু লাগিয়েছিলেন জাভেদ হাবিব।
পূজা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, ”আমার চুল শ্যাম্পু করা ছিল না। উনি কাটতে কাটতে ঠিক আমার চুলের মাঝখানে থুতু ছেটালেন। তারপর বললেন – এই থুতুতে প্রাণ আছে”। আসলে, হাবিব বোঝাতে চাইছিলেন, জলের অভাবে কীভাবে চুলের যত্ন করা যায়। আর তার জন্য তিনি অন্যের চুলে স্রেফ থুতু ছিটিয়ে ডেমো দেখাতে চাইছিলেন। কিন্তু বিষয়টি হওয়ার পরই পূজা সেখান থেকে উঠে আসেন। এই ব্যাপারটা তাঁর সহ্য হয়নি।
হাবিবের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং মহামারী রোগ আইন, ১৮৯৭ এর ধারা ৩৫৫ (ব্যক্তিকে অসম্মান করার অভিপ্রায়ে আক্রমণ বা অপরাধমূলক শক্তি, অন্যথায় গুরুতর উস্কানি) এর অধীনে মামলা করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। জাতীয় মহিলা কমিশন এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী উভয়ের প্রতিক্রিয়া এবং সমালোচনার পরে, জাভেদ হাবিব তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে তার পদক্ষেপের জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন। তিনি বলেন, এটা ‘কৌতুকপূর্ণ’ উদ্দেশ্য নিয়ে করা হয়েছে।