পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: আর্থিক তছরূপ আইনের আওতায় এবার জিএসটি। জিএসটি হল গুড এবং সার্ভিস ট্যাক্স। এটি মূলত বিক্রয়ের উপর আরোপিত এক ধরনের কর, যা ম্যানুফ্যাকচারিং এবং পণ্য এবং পরিষেবার ব্যবহার করা হল। জিএসটি সমগ্র দেশবাসীর জন্য একটি পরোক্ষ কর। এটি মূলত সমস্ত নাগরিকের করের একটি নতুন রূপ যা সমস্ত কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যের কর এবং শুল্ক যেমন মূল্য সংযোজন কর, আবগারি শুল্ক, কাউন্টারভেলিং শুল্ক, অক্টোয়, পরিষেবা কর, প্রবেশ কর এবং বিলাসিতা করকে প্রতিস্থাপন করে। এবার পণ্য ও পরিষেবা করকেও আর্থিক তছরূপ আইনের অধীনে নিয়ে এল কেন্দ্রীয় সরকার। শনিবার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে এই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। আর্থিক তছরূপ আইনের ৬৬ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী এই পরিবর্তন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, পণ্য ও পরিষেবা কর সংক্রান্ত তথ্যও দিতে হয়।
গত বছরের নভেম্বরে আর্থিক তছরূপ আইনের আওতায় ১৫টি সংস্থাকে যুক্ত করে মোদি সরকার। তার মধ্যে রয়েছে কম্পিটিশন কমিশন অফ ইন্ডিয়া, এনআইএ, এসএফআইও, রাজ্য পুলিশ, ডাইরেক্টর জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড, বিদেশমন্ত্রক, ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্স গ্রিড, কেন্দ্রীয় ভিজিল্যান্স কমিশন সহ বিভিন্ন সংস্থা ও বিভাগকে আর্থিক তছরূপ আইনের আওতায় আনা হয়। ফলে, ইডি এবং এই সমস্ত সংস্থার মধ্যে অর্থনৈতিক তথ্য আদান প্রদানের দরজা খুলে যায়।
উল্লেখ্য, পণ্য ও পরিষেবা করের ভুয়ো রেজিস্ট্রেশনের অভিযোগ উঠেছে। বিভিন্নভাবে প্রতারণা করারও অভিযোগ এসেছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। সেই কারণেই এই পণ্য ও পরিষেবা কর বা জিএসটিকে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট বা আর্থিক তছরুপ প্রতিরোধ আইনের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রীয় সরকার।
১৬ মে থেকে দুমাস ধরে ভুয়ো জিএসটি রেজিস্ট্রেশন চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। সেই অভিযানে মোট ৬৯,৬০০টি সন্দেহজনক জিএসটি নম্বর খুঁজে পান কর বিভাগের আধিকারিকরা। এখনও পর্যন্ত মোট ৫৯,০০০টি জিএসটি নম্বর যাচাই করা হয়েছে। ১৭,০০০ এর বেশি জিএসটি নম্বরের কোনও অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি আয়কর বিভাগ। কোনও ব্যক্তি জিএসটি বা করফাঁকির চেষ্টা করলে এবার সরাসরি তদন্ত করতে পারবে ইডি।