রেজাউল করিম– মোথাবাড়ি বুধবার স্থানীয়ভাবে ঝড়বৃষ্টির মুখে পড়ে আম উৎপাদক জেলা মালদা। এদিনের ঝোড়ো বাতাসে আমের কিছু ক্ষতি হলেও সঙ্গের বৃষ্টি আমের পক্ষে ভালোই হবে। উপকারিও বটে বলে মনে করছেন আম উৎপাদকরা। বৃষ্টিতে আমগাছের উপর জমে থাকা আস্তরণ ধুয়ে সাফ হয়ে গিয়ে সতেজ হয়ে ওঠে আমগাছ। ফলে ফল বড় হওয়ার ক্ষেত্রে উপকারে আসবে এদিনের বৃষ্টি। বুধবার দুপুরে প্রায় আধ ঘন্টার বৃষ্টিতে আমগাছগুলি সতেজ হয়ে উঠেছে। খুশি জেলার চাষিরা। যদিও দমকা হাওয়ায় কিছু সরষে দানার মতো আম ঝরেছে। কিন্তু তারপরের বৃষ্টিটা উপকারে লাগবে বলে উদ্যানপালন দফতর থেকে জানানো হয়েছে। এখন মুকুল থেকে দানার আকারে আম হতে শুরু করেছে। সাধারণ মটরশুটি কিংবা কলাইয়ের দানার মতো আমের ক্ষেত্রে ততটা এখন ভয়ের কিছু নেই। দমকা হাওয়াতেও তেমন ক্ষতি সাধারণত হয় না। জেলার বেশির ভাগ বাগানের আম এখন কলাইয়ের দানার মতো আকার ধারণ করেছে। কিন্তু সরষের দানার আমের ক্ষেত্রে কিছুটা ভয় এখন রয়েছে। সে ক্ষেত্রে এদিনের ঝোড়ো হাওয়ায় কিছুটা আম ঝরেছে। তবে কতটা ঝরেছে তার হিসেব নিচ্ছে জেলা উদ্যান পালন দফতর। চাষিদের মতে– কলাইয়ের দানা আকৃতির আমের ক্ষেত্রে অল্প বৃষ্টি খুব উপকারি। মুষলধারে বৃষ্টি হলে দুশ্চিন্তার বিষয় হত। কিন্তু ঘন্টাখানেকের বৃষ্টিতে আমগাছের উপর জমে থাকা ধুলোর আস্তরণ ধুয়েমুছে পরিষ্কার হয়ে যায়। ফলে আমের বৃদ্ধির রাস্তা ত্বরান্বিত হয়।
উল্লেখ্য– গত মরশুমে মালদা জেলায় মোট ৩১ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছিল। আমের ফলন হয়েছিল ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার ১০০ মেট্রিক টন। জেলায় হেক্টর প্রতি আমের ফলন ছিল ১১.৯৩ মেট্রিক টন। এবছর জেলা উদ্যানপালন দফতরের উদ্যোগে নতুন করে আরও ৪৫০ হেক্টর আমের জমি বাড়ানো হয়েছে।
জেলা উদ্যান পালন দফতরের উপ অধিকর্তা সামন্ত লায়েক বলেন– ‘এদিন ঝোড়ো বাতাসের পর হাল্কা বৃষ্টি হয়। এই বাতাসে সরষের দানা আকৃতির কিছু আম কিছু ঝরেছে। কিন্তু উল্টো দিকে কলাইয়ের দানা কিংবা মটরশুটির দানার মতো আমের ক্ষেত্রে বেশ উপকারি এই বৃষ্টি।’