পুবের কলম প্রতিবদেক: আগামী ২০ মে উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন। এই কেন্দ্র থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছেন সাজদা আহমেদ। এর আগেও উলুবেড়িয়া কেন্দ্র থেকে তিন বার জিতে এসেছেন তিনি। আদ্যোপান্ত রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে আবৃত পরিবার থেকেই উঠে এসেছেন সাজদা। লোকসভা নির্বাচনের প্রচার, জনসংযোগ ও উন্নয়নের একগুচ্ছ দিশা শোনালেন সাজদা আহমেদ। শুনলেন পুবের কলম প্রতিবেদক সেখ কুতুবউদ্দিন।
এই প্রচন্ড গরম, কীভাবে প্রচার সারছেন?
গরমে ভোট প্রচার একটু কষ্টকর। তবে ওআরএস জল, পানীয়, ফল-মূল খেয়েই বেশি প্রচার করা হচ্ছে। ঘন ঘন জল খাওয়া। তবে প্রচন্ড গরমে সাধারণ মানুষও বাড়ি থেকে বের হতে পারছেন না। তাই বিকেলে দিকেই সভা-মিছিল রাখা হচ্ছে। উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনি কমিটির চেয়ারম্যান ও জনস্বাস্থ্য কারিগরি ও পূর্ত দফতরের মন্ত্রী পুলক রায়, বাগনান কেন্দ্রের বিধায়ক এবং হাওড়া গ্রামীন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অরুনাভ সেন, এই লোকসভা কেন্দ্রের সহসভাপতি তথা উলুবেড়িয়া পুরসভার চেয়ারম্যান অভয় কুমার দাস, হাওড়া গ্রামীন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি জুবের আলম সহ স্থানীয় নেতানেত্রীরা প্রচার কার্যে সর্বতোভাবে সহযোগিতায় রয়েছেন।
কোনও বিষয়গুলি মানুষের কাছে তুলে ধরছেন?
মানুষের কাছে উলুবেড়িয়া এলাকার উন্নয়নের কথাগুলি তুলে ধরছি। মানুষকে দিশা দিচ্ছি। আগামীতে কী কী কাজ হবে সেগুলিও উল্লেখ করা হচ্ছে। এর আগেও উলুবেড়িয়া কেন্দ্র থেকে সংসদ ছিলেন।
মানুষের দাবি কতটা পূরণ করেছেন?
এমপি ল্যাড থেকে টাকা খরচ করে এলাকার উন্নয়ন ঘটিয়েছি। স্কুলের উন্নয়ন, কবরস্থান সংস্কার ও প্রাচীরের ব্যবস্থা, শ্মশানের উন্নয়ন, কালভার্ট তৈরি, প্যাসেঞ্জার সেড, কলেজের গেট তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে সুবিধা দিতে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি।
আগে সেন্ট্রালে কোন বিষয়গুলি তুলে ধরেছেন?
রাজ্যের বিভিন্ন বিষয় এবং কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতিগুলি তুলে ধরেছি। শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের নামে স্টেশন হোক, সেই বিষয়টিও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
আগামীতে সাংসদ হলে সংসদ ভবনে কোন কোন বিষয়গুলি তুলে ধরবেন?
আগামীতে সংসদ হলে মানুষের জন্য আরও অনেক বিষয় তুলে ধরা হবে। পাশাপাশি মানুষের সঙ্গে থেকে জনকল্যাণমূলক কাজ ও তথ্য তুলে ধরাই আমার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। ভোট প্রচারে মানুষের কাছে গিয়ে কী রকম সারা পাচ্ছেন। মানুষের কাছে গিয়ে ভালো সারা মিলছে। সভা-মিছিলগুলিতে বহু মানুষ অংশ নিচ্ছেন। তাঁরা এসে আমাদের স্লোগানে সামিল হচ্ছে। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পগুলিতে খুশি সাধারণ মানুষ।
লোকসভায় গুরুত্বপূর্ণ উপস্থাপনগুলির মধ্যে কী ছিল?
সারা দেশে, যেখানে অত্যাচার হয়, নারী নিগ্রহ হয়, যেমন উত্তর প্রদেশ, মণিপুর সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে গিয়ে প্রতিবাদ করি। সেই বিষয়গুলিও লোকসভার মধ্যে উপস্থাপন করেছি। আসামে সিএএ করে ১৯ লক্ষ মানুষকে বাস্তুহীন করেছে, চাকরি, মূল্যবৃদ্ধি-এইসব ঘটনা তুলে ধরেছি। উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্র রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ স্থান।
এখানকার মানুষের উপর কতটা আস্থা রয়েছে আপনার?
এখানকার মানুষের সঙ্গে আমার ভাtলো সম্পর্ক। আত্মার যোগাযোগ আছে। সব সময় মানুষ আমাদের উপর ভরসা করেন। আমিও আশা করি, সব সময় দিনে-রাতে তাঁদের পাশে থাকতে পারছি, এর জন্য একশো শতাংশ নিশ্চিত, এলাকার মানুষ আমাকে ফের কাজের সুযোগ দেবেন।