পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: সকলই কম বেশি স্বাস্থ্য সচেতন। যোগা-প্রাণায়াম, এরোবিক্স-এখন এগুলো আমাদের কাছে অতি পরিচিত শব্দ। তবে শারীরিক কসরৎ-এর সঙ্গে আমাদের খাওয়া-দাওয়ার দিকেও নজর দিতে হবে। সকালবেলাটা যদি খুব সুন্দর করে শুরু করা যায়, তাহলে সারাদিনটাই বেশ ফুরফুরে মেজাজে কাটে। আর এই চনমনে ভাব জাগাতে আপনার সামনে যদি এসে হাজির হয়, একপেয়ালা গ্রিন-টি, তাহলে তো কোনও কথায় নেই। গোটা দিনটাই বেশ ফুরফুরে আর তরতাজা থাকবে। সকালে এক পেয়ালা গ্রিন টি অনেক রোগের হাত থেকে বাঁচাবে।
চায়ে মূলত তিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকে, যা শরীরের জন্য উপকারী। আইসোফ্লাভন, পলিফেনল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
গ্রিন টি
গ্রিন-টি সবচেয়ে কম প্রক্রিয়াকরণ করা হয়। তাই সবুজপাতা অনেকটা সবুজ থাকে। ফলে এই চায়ে সবচেয়ে বেশি গুণ রয়েছে। দিনে ২ কাপ গ্রিন-টি পান করাই যায়। এই চা শরীরের রক্ত চলাচল বাড়িয়ে শরীরকে সতেজ, তরতাজা, প্রাণবন্ত আর ওজন কমাতে সাহায্য করে।
১. এই চায়ে থাকা ক্যাটেচিন ও পলিফেনল হরমোন নিয়ন্ত্রণ করে এবং চায়ে বিদ্যমান অ্যাপিগ্যালোক্যাটেচিন গ্যালাট নামক একটি যৌগিক পদার্থ চুল গজাতেও সাহায্য করে।
২. অ্যান্টি কার্সিনোজেনিক-গ্রিন টিতে অ্যাপিক্যাটেচিন, অ্যাপিগ্যালোক্যাটেচিন-৩-গ্যালাটউপাদান শরীরে ক্যানসার প্রতিরোধে সক্ষম।
৩. এই সময় অধিকাংশ মানুষ ব্লাড সুগারে আক্রান্ত। গ্রিন-টি ইনসুলিন রেজিট্যান্স কমায় আর ইনস্যুলিন সেনসিটিভিটি বাড়িয়ে দেয়, ফলে অল্প ইনস্যুলিনেই বেশি কাজ হয়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়া উচ্চ রক্তচাপ বৃদ্ধিকারী হরমোনকে নিয়ন্ত্রণে রেখে ব্লাড প্রেসার স্বাভাবিক রাখে।
৪.ওরাল হাইজিন- ‘ইউরোপিয়ান জার্নাল অফ নিউট্রিশন’ অনুযায়ী মুখের দুর্গন্ধ, দাঁত বা মাড়ির যেকোনও সমস্যা সমাধানে গ্রিন টি উপকারি।
৫. অ্যান্টি এজিং-পলিফেনল বয়স ধরে রাখতে সাহায্য করে। ত্বকের ঔজ্জ্বল্যতা বাড়ায়।