বিশেষ প্রতিবেদন: ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। আমেরিকার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টা। নিউইয়র্কের বিখ্যাত টুইন টাওয়ারে আছড়ে পড়ে দু’টি যাত্রীবাহী বিমান। তৃতীয় বিমানটি আছড়ে পড়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা সদর দফতর পেন্টাগনে। নজীরবিহীন ওই হামলায় নিহত হয়েছিলেন প্রায় ৩ হাজার মানুষ। এ ঘটনার পর পাল্টে যায় বিশ্ব রাজনীতির প্রেক্ষাপটও। তবে এবার ওই হামলা নিয়ে সামনে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য।
শুক্রবার এক প্রতিবেদনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, ৯/১১ নামে পরিচিত ওই হামলার কথা এক মাস আগেই জানতেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ। ২০০১ সালের ৬ আগস্ট মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ ওসামা বিন লাদেনের নাশকতার পরিকল্পনার বিষয়ে জানিয়েছিল তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে। সিএনএনের ওই প্রতিবেদনে ২০০৪ সালের এপ্রিল মাসের কিছু সরকারি নথির কথা উল্লেখ করে বলা হয়, আল কায়দার বড় ধরনের নাশকতার ছক সম্পর্কে অন্তত এক মাস আগে হোয়াইট হাউসকে সর্তক করেছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।
কিন্তু পুরো বিষয়টি জানার পরও আশ্চর্যজনকভাবে উদাসীন ছিলেন বুশ। এমনকি হামলা ঠেকাতে কোনও পদক্ষেপও নেননি তিনি। এর আগে ২০০৪ সালেও বুশের কাছে হামলার আগাম খবর থাকার দাবি করেছিল মার্কিন একটি সংবাদমাধ্যম। যদিও এ নিয়ে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে কখনই কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি। ট্যুইন টাওয়ার হামলার পর ‘মিশন আফগানিস্তান’ শুরু করে মার্কিন বাহিনী।
তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের নেতৃত্বে ‘বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে’ লড়াই শুরু করে আমেরিকা। তবে সন্ত্রাস-বিরোধী যুদ্ধ করতে গিয়ে আফগানিস্তান, সিরিয়া, লিবিয়া ও ইরাকের মতো দেশে নিরীহ মানুষদের হত্যা করতে থাকে মার্কিন সেনা। রাজনৈতিক স্বার্থে সাম্রাজ্যবাদী এজেন্ডা চালিয়ে বহু দেশকে যুদ্ধের ময়দান বানিয়ে দেয় ওয়াশিংটন। এভাবে অস্ত্র ব্যবসাতেও লাভবান হয় আমেরিকা।