আহমদ হাসান ইমরান: রাফা-সহ গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবটি বিশ্ব মোড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভেটো প্রয়োগের জন্য খারিজ হয়ে গেছে। ইতিমধ্যেই ফিলিস্তিনের গাজা ভূ-খণ্ডে ইসরাইলি আক্রমণে ২৯,০০০-এরও বেশি শিশু, নারী, বৃদ্ধ নৃশংসভাবে যায়নবাদী গণহত্যার শিকার হয়েছে। অগণিত মানুষ নিরুদ্দেশ এবং মারাত্মকভাবে জখম বা আহতের সংখ্যা প্রায় ৭০,০০০। এ ছাড়া মিশন সীমান্তবর্তী শহর রাফায় ইসরাইল তাড়িয়ে নিয়ে এসেছে অতিরিক্ত ১৫ লক্ষ গাজাবাসীকে। তাদের বক্তব্য, এ দিকে এলে তোমাদের উপর ইহুদি হামলা হবে না। কিন্তু বরাবরের মতো এবারও ইহুদিবাদীরা তাদের প্রতিশ্রুতি রাখেনি। পলায়নপর অসুস্থ, ক্ষুধার্ত, তৃষ্ণার্ত মানুষের উপর তারা মাঝেমধ্যেই হামলা চালিয়েছে। আর মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে ব্যাপকভাবে।
এখন রাফায় অতিরিক্ত আরও প্রায় ১৫ লক্ষ ফিলিস্তিনি নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ আশ্রয় নিয়েছে। এদের কথা বিবেচনা করে আলজেরিয়া রাষ্ট্রসংঘে প্রস্তাব এনেছিল, অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি করা হোক। ত্রাণ ও চিকিৎসার সামগ্রী পাঠানো হোক রাফায়। দুই রাষ্ট্র সমাধানের ভিত্তিতে ফিলিস্তিন সমস্যার সমাধান হোক। কিন্তু এই নিয়ে পর পর তিনবার গণহত্যায় বন্ধের প্রস্তাবগুলিতে দোসর নেতানিয়াহুকে সাহায্য করার জন্য ভেটো প্রয়োগ করল মানবাধিকারের ভুয়ো তলপিবাহক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এখন স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, ফিলিস্তিনি গণহত্যার আসল ঘাতক হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন ও ব্রিটিশ মদদে গাজায় চলছে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের হত্যাযজ্ঞ। এখানে ইহুদি বাহিনী শুধু ঘাতকের ভূমিকা নিচ্ছে মাত্র। ট্রিগার রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স প্রভৃতি ‘সভ্য’ দেশের হাতে। এদের কাছে নিজেদের স্বার্থই বড়। মানুষের জীবন, মানবাধিকার, আন্তর্জাতিক আইন এরা কোনও কিছুরই পরোয়া করে না।
গাজায় হামাসের মুজাহিদরা চার মাসেরও বেশি সময় ধরে অব্যাহত লড়াই চালিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুখোশ উন্মোচিত করে দিয়েছে। স্পষ্ট হয়েছে, নিজেদের স্বার্থে পশ্চিম এশিয়ায় ধ্বংস ও নিধনযজ্ঞ চালাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ইসরাইল-সহ উন্নত দেশগুলি।