গাজা, ২৯ এপ্রিল: গাজার রাফাহ শহরে ধ্বংসলীলা চালাতে শুরু করেছে ইসরাইল। সোমবার ভোরে গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে বিমান হামলায় চালাল ইসরাইলি সেনা। ওই অঞ্চলের তিনটি বাড়িতে হামলায় পাঁচ শিশুসহ অন্তত ২০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। অনেকে আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। আহতদের রাফাহ শহরের কুয়েতি ও মুহাম্মদ ইউসেফ এল-নাজার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, প্রথমে জেনিনা পাড়ায় আল-খতিব পরিবারের একটি বাড়িকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়। যার ফলে এক শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। দ্বিতীয় হামলাটি শাবোরা শরণার্থী শিবিরে আল-খাজা পরিবারের একটি বাড়িতে বিমান হামলা চালানো হয়। ফলে একটি শিশুসহ সাত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে অনেকে। তৃতীয় হামলাটি করা হয়েছে সালাম এলাকায় আবু তাহা পরিবারের একটি বাড়িতে। এতে তিন শিশুসহ ১০ ফিলিস্তিনি নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ এপ্রিল, শনিবার গাজা উপত্যাকার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা চালায় ইসরাইলি সেনা। ওই হামলায় আট জন ফিলিস্তিনি নাগরিক নিহত হন। আহত হন ৩০ জন। ফিলিস্তিনি সংবাদসংস্থা ওয়াফা জানায়, শরণার্থী শিবিরে আবাসিক বাড়ি লক্ষ্য করে বিমান হামলায় এক শিশুসহ চার ফিলিস্তিনি নিহত হন। অন্য একটি শিবিরে পৃথক হামলায় আরও চার ফিলিস্তিনি নিহত সহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন।
এদিকে, দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরটিতে গাজায় যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত ১০ লাখেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। ইসরাইল রাফাহ শহরে হামলা অব্যহত এবং জোরদার করলে ব্যাপক নিহত ও আহত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর থেকে লাগাতার ইসরাইলি হামলায় বিধ্বংস হয়েছে গাজা উপত্যকায়। গত প্রায় সাত মাস ধরে চলা হামলায় তেল আবিব দাবি করেছে, ১,২০০ জনেরও কম মানুষ নিহত হয়েছে। অন্যদিকে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রায় সাত মাস ধরে চালানো এ হামলায় এখন পর্যন্ত ৩৪ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৭৭ হাজারেরও বেশি মানুষ। এদের মধ্যে নারী ও শিশুদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।