পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজায় ‘গণহত্যার অপরাধে’ ইসরাইলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার করা মামলার গণশুনানির তারিখ ঘোষণা করেছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)। আগামী ১১ ও ১২ জানুয়ারি হবে এ শুনানি। বুধবার (এক্স-এ প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানিয়েছে আইসিজে। এতে বলা হয়, গাজা যুদ্ধ নিয়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে করা দক্ষিণ আফ্রিকার মামলাটির বিষয়ে আগামী ১১ ও ১২ জানুয়ারি দ্য হেগের পিস প্যালেসে গণশুনানি করবে আইসিজে। শুনানির পর জরুরি ব্যবস্থার বিষয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে আদালত সাধারণত এক বা দুই সপ্তাহ সময় নেয়। আদালতের রায়গুলো চূড়ান্ত। তবে সেগুলো প্রয়োগ করার কোনও কর্তৃত্ব তার নেই। গাজায় ‘গণহত্যার অপরাধে’ গত সপ্তাহে ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা দায়ের করে দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে রাষ্ট্রসংঘের আদালতে মামলাটি প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরাইল। যদিও ফিলিস্তিনিদের ওপর সম্মিলিত শাস্তির অপরাধে অভিযুক্ত করা হয়েছে ইসরাইলকে। ফিলিস্তিনে রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ দূত ফ্রান্সেসকা আলবানিজ বলেছেন, গাজায় ইসরাইলের হত্যাযজ্ঞ স্রেব্রেনিকা ও রুয়ান্ডার মতো বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের গণহত্যা থেকে খুব বেশি ভিন্ন নয়। ফ্রান্সেসকা বলেন, ‘আপনি যদি ভালো করে খেয়াল করেন, এট অন্যান্য গণহত্যাগুলোর থেকে তেমন আলাদা কিছু নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘গণহত্যা মূলত একটি প্রক্রিয়া, একটা মাত্র ঘটনা নয়। গাজায় গণহত্যা অবশ্যই প্রতিরোধ করা উচিত ছিল। যেমনটা উচিত ছিল স্রেব্রেনিকা ও রুয়ান্ডা গণহত্যা প্রতিরোধ করা। কিন্তু বিশ্ব এটা ঘটতে দিচ্ছে।’ গাজায় গণহত্যার জন্য ইসরাইলকে আন্তর্জাতিক আদালতে তোলার জোর দাবি ওঠে বিভিন্ন মহল থেকে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে মামলা ঠুকে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। আদালতে করা মামলার আবেদনে গাজায় ইসরাইলের চলমান কর্মকাণ্ডকে ‘গণহত্যামূলক’ বলে উল্লেখ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। গাজায় ফিলিস্তিনিদের হত্যাসহ শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে বলেও মামলার আবেদনে বলা হয়। প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক বিচার আদালতকে বিশ্ব আদালতও বলা হয়। রাষ্ট্রসংঘের এই আদালত দেশগুলোর মধ্যে বিরোধের বিচার করে। এটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) থেকে আলাদা। আইসিসি যুদ্ধাপরাধের জন্য ব্যক্তিদের বিচার করে থাকে। রাষ্ট্রসংঘের সদস্য হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইসরাইল উভয় দেশই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের আওতাধীন।