পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: ভরত তথা এশিয়ার সবচেয়ে বড় ধনকুবের গৌতম আদানি শুক্রবার শুধু একদিনেই শেয়ার বাজারে হারিয়েছেন রায় ২ লক্ষ কোটি টাকা। এরফলে বিশ্বের ধনীদের তালিকায় আদানি মেনে এসেছেন সপ্তম স্থানে। ফোর্বস রিয়্যাল টাইমস বিলিয়নেয়ার ইনডেক্সের রিপোর্ট অনুযায়ী শুক্রবার শেয়ার মার্কেটে ট্রেনিং শুরু হতেই আদানির বানিজ্য সংস্থাগুলির শেয়ারের দাম একে একে পড়তে থাকে। এক ঘণ্টার মধ্যে তার বানিজ্য সংস্থাগুলির শেয়ারের দাম কমে যায় ১৮ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ আদানির মোট সম্পদ ১১৮ বিলিয়ন ডলার থেকে কমে দাঁড়ায় ১০০ বিলিয়ন ডলারে।
আদানি এখন ধনীদের তালিকায় মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের নিচে নেমে এসেছেন। বিল গেটসের মোট সম্পদের পরিমাণ এখন ১০৪ বিলিয়ন ডলার। গত বছর আদানি সংস্থাগুলির শেয়ারের দাম প্রচণ্ড গতিতে উপরে ওঠার ফলে গৌতম আদানি বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছিলেন। বিশ্বের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় আদানির ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বী রিলায়েন্স সংস্থার চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি ছিলেন একাদশ স্থানে। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ৮৩ বিলিয়ান ডলার। শুক্রবার আদানি সংস্থার বাজারে মূলধন ২০ শতাংশ কমে যাওয়ার পেছনে রয়েছে আদানি সংস্থার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ।
আমেরিকার শেয়ারতদন্ত সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ তাদের ২৪ জানুয়ারির রিপোর্টে অভিযোগ করেছে নিজেদের সংস্থার শেয়ারের দাম বাড়ানোর জন্য আদানিরা কারসাজি করেছে। আদানির ৭টি তালিকাভুক্ত সংস্থার শেয়ার বাজারে কারসাজি করে দাম বাড়ানো হয়েছে। অভিযোগে আরও বলা হয়েছে শেয়ারের মেকি দাম বাড়ানোর কাজ আদানিরা প্রায় এক দশক ধরে করে চলেছে।
আদানিদের তরফে এই অভিযোগের উত্তরে বলা হয়েছে আমরা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ সংস্থার বিরুদ্ধে এই ‘অভিসন্ধিমূলক রিপোর্ট’-এর জন্য মামলা করব। আমরা আমেরিকা এবং ভারতীয় আইন খতিয়ে দেখছি মামলা করার জন্য বলে জানিয়েছে আদানি সংস্থার বানিজ্য প্রধান যতীন ঝালুন্দাওয়ালা। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ সংস্থা আদানিদের মামলা করার হুমকি ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছে।
সংস্থার তরফে প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়েছে আমরা আদানিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে রিপোর্ট পেশ করেছি তার সমস্ত তথ্য আমাদের হাতে আছে। আদানিরা যদি সত্যি মামলা করতে চান তাহলে সেই মামলা তারা আমেরিকায় করুন যেখানে আমরা কাজ করি। হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ সংস্থা ট্যুইট করে বলেছে আমাদের সামনে এমন সব তথ্য রয়েছে যা প্রকাশ্যে এলে আদানিরা তাদের মান বাঁচাতে পারবেন না।