পুবের কলম, ওয়েবডেস্কঃ খাদ্য রসিকদের কাছে ফিউশন ফ্যান্টাসি নামটা খুব একটা অচেনা নয়। কারণ দক্ষিণ কলকাতার ফিউশন ফ্যান্টাসিতে সি ফুড এবং বাম্বু বিরিয়ানির টানে বার বার ছুটে গিয়েছেন খাদ্য রসিকেরা। লেক রোডে অবস্থিত ফিউশন ফ্যান্টাসির বাম্বু বিরিয়ানি, লাভা ঘোস্ট, ফিশ পলি মির্চি, চিকেন কাবসার মতো সিগনেচার ডিশগুলি খাদ্য রসিকদের মন জয় করে নেওয়ার পর এবার উত্তর কলকাতার মানুষদের মন জয় করতে সল্টলেক ইজেডসিসিতে তাদের একেবারে নতুন আউটলেট নিয়ে এসেছে ফিউশন ফ্যান্টাসি।
এই রেস্তোরাঁর পরিবেশ, নকশা, আবহ সবাটাই বেশ চমকপ্রদ। খোলা আকাশের নিচে খাওয়া-দাওয়া, আড্ডা, গান-বাজনারও ব্যবস্থা রয়েছে।
ফিউশন ফান্টাসির অন্যতম কাণ্ডারী কৌশিক ঘোষ জানালেন, ‘আমার নামে হয়তো আমাকে আপনারা চিনবেন না কিন্তু স্যান্টাস ফ্যান্টাসির নামে চিনলেও চিনতে পারেন। এই স্যান্টাস ফ্যান্টাসি নামের পেছনে আমি ছাড়াও অভিজিৎ সাহা এবং পার্থ ঘোষের অনেক অবদান রয়েছে।
আজ থেকে ১০ বছর আগেই ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছিল যে, কেন নতুন কিছু নয়?
কলকাতায় আমরা যখন প্রথম সি-ফুড ইন্ট্রোডিউস করি, আজ থেকে ১০ বছর আগে তখন আমাদের আউটলেটেই প্রথম ছিল, গোলপার্কে স্যান্টাস ফ্যান্টাসি। স্কুইড, অক্টোপাস, সি ক্র্যাব, প্রণস। মাছের মধ্যে টুনা, কিং ফিস, ম্যাকেরেল এরকম নানা ধরনের সি ফুড মেনুর সঙ্গে কলকাতার মানুষের পরিচয় করিয়েছিলাম।
এর বছর দুয়েক পর আমরা একটা সিস্টার কনসার্ন তৈরি করলাম ফিউশন ফান্টাসি নামে। স্যান্টাস ফ্যান্টাসির স্পেশালিটি ট্রাইবাল এবং সি ফুড। ফিউশন ফ্যান্টাসিতে অ্যারোবিক ফুড এবং কোস্টাল কুইজিন।
এবছর আবার আমরা ফিউশন ফ্যান্টাসির একটি ব্রাঞ্চ তৈরি করলাম ইজেডসিসি তে। এখানেও মূলত স্কুইড/অক্টোপাস রেখেছি। তবে আজকের প্রজন্ম পিৎজা বার্গার এগুলো খেতে বেশি পছন্দ করে। আমার মনে হয়না এখনও পর্যন্ত কলকাতা শহরে স্কুইড বার্গার/পিৎজা, অক্টোপাস বার্গার, ফুড পিৎজা এগুলো পাওয়া যায়। মিলেট বিরিয়ানির মতো হেলদি ফুড পাওয়া যাচ্ছে এই ফিউশন ফ্যান্টাসি ইজেডসিসি তে। মিলেট শরীরের জন্য মিনারেল, প্রোটিন এবং ফাইবারে ভরপুর খুব প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। তবে এর মধ্যে বিরিয়ানির স্বাদ একেবারে পূর্ণ মাত্রায় বজায় রয়েছে’।
শহরের এই সংস্কৃতি কেন্দ্রে সংস্কৃতির ছোঁয়া থাকবে না তা কি হয়? তাই খোলা আকাশের নিচে ফিউশন ফ্যান্টাসি কে কেন্দ্র করে খাওয়া-দাওয়ার সঙ্গে থাকছে গান শোনা ও গাওয়ার ব্যবস্থাও। ফিউশন ফান্টাসির মিউজিকের ব্যবস্থাপনায় থাকা দেবশ্রী সেন এর কথায়, ‘ফিউশন ফান্টাসি বা স্যান্টাস ফ্যান্টাসির খাবারের মাহাত্ম্য তো জানাই আছে। তার সঙ্গে যদি জমজমাট আড্ডা, গান-বাজনা জুড়ে দেওয়া যায় তবে তো মন্দ হয় না। সেই ভাবনা চিন্তা থেকে এখানে গান বাজনার আয়োজন করা হয়েছে। ইজেডসিসি শিল্প সংস্কৃতির জায়গা, এটা সবাই জানে। তাই জায়গাটি একেবারেই গান-বাজনা চর্চার উপযুক্ত। ইজেডসিসির এই ফিউশন ফ্যান্টাসি ইউনিটে বিভিন্ন ধরনের মিউজিকাল ইন্সট্রুমেন্ট রয়েছে। যেমন সিন্থেসাইজার, কাহন, গিটার।
আমরা চাইছি যারা গান-বাজনা করেন, গান ভালোবাসেন, আড্ডা দিতে ভালোবাসেন তারা এখানে চলে আসুন। এখানে সপ্তাহে চার পাঁচদিন গান-বাজনা, আড্ডা হয়। এখানে এসে কেউ গান-বাজনা করতে চাইলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। আসলে আমাদের মধ্যে ভালো সংস্কৃতিটা ছড়াক, আমরা ভালো থাকি, এটাই চাই। কারণ আমরা করোনার জন্য শেষ দু বছর ভালো থাকতে ভুলে গেছি। তবে আমাদের ভালো থাকতেই হবে। তাই এই প্রয়াস। গান নাচ আড্ডা কবিতা stand-up কমেডিতে সময়টা সবার ভালো করে কাটুক। এখানে গান-বাজনার সময় সন্ধ্যে ৬ টা থেকে রাত ৮.৩০ টা পর্যন্ত’।
সম্প্রতি ফিউশন ফান্টাসি ইজেডসিসি আউটলেটে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এখানকার স্পেশাল মেনু সম্পর্কে জানা গেল। এদিনের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগীতশিল্পী সৌমজিৎ দাস এবং সৌরেন্দ্র মল্লিক। তারাও এখানকার স্পেশাল মেনু তারিফ করেন।