জৈদুল সেখ, কান্দি ‘মোমো’ বর্তমানে একটি অতি পরিচিত নাম। ৮ থেকে ৮০ সকলের কাছেই মোমো আজ যথেষ্টই জনপ্রিয় তা একবাক্যেই বলা যায়। মুর্শিদাবাদের কান্দিতেও যথেষ্টই জনপ্রিয় এই মোমো বলা যায়। নেপাল এবং দার্জিলিং থেকে আসা কয়েকজনের হাত ধরে ভেজ– চিকেন– ফ্রাই মোমোর স্বাদ চেটেপুটে নিচ্ছেন কান্দির বাসিন্দারা। আর মুখে হরেক আওয়াজের মাধ্যমে খরিদ্দারকে আরও বেশি করে আকর্ষিত করছেন সুরজ ও সঞ্জয়রা।
উল্লেখ্য তিব্বতে ‘মোমো’ শধের অর্থ সেদ্ধ করা বান বা রুটি। এটি ময়দার ভিতর নানারকম পুর দিয়ে পরিবেশন করা হয়। যেমন মাংস– সব্জি– পনির ইত্যাদি। তিব্বতি এই খাবারটি ভুটান– নেপাল– লাদাখ এবং উত্তরপূর্ব ভারতে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়েছে। মোমো এখন সারা দেশের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের কান্দিতেও সমান জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
ভোজন রসিক বাঙালী। তবে বর্তমানে বাঙালির পাতে নতুন করে সংযোজন হয়েছে মোমো। একদা নেপালী এই জনপ্রিয় খাবার এখন জায়গা করে নিয়েছে বাঙালীর কাছে। নবাবের জেলা মুর্শিদাবাদ। বহু দূর-দূরান্ত থেকে পর্যটকেরা আসেন মুর্শিদাবাদ জেলাতে ঘুরতে। এই জেলার প্রাচীন শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম কান্দি শহর। কান্দি রাধাবল্লভ মন্দিরের চত্বরে মোমো বিক্রি করছেন নেপালী সুরজ ছেত্রী সহ কয়েকজন দার্জিলিং এর বাসিন্দারা। যা অতি সহজেই মন কেড়েছে বাসিন্দাদের।
মফস্বলের রাস্তাঘাট– অলিতে গলিতে পাওয়া মোমোগুলোর স্বাদও যথেষ্টই ভালো। চিকেন মোমো থেকে ভেজ মোমো সকলেই উপভোগ করছে এই প্রিয় খাবারের। প্রসঙ্গত– এখানে দামও কম– ভেজ-৫০– চিকেন-৭০ এবং ফ্রাই-৮০ টাকার মধ্যে। কোভিড বিধি মেনে হোম ডেলিভারীর ব্যবস্থা রয়েছে। এত কম টাকায় অ্যালুমিনিয়ামের পাত্র থেকে বের করে আনা মাংসের মোমো– সঙ্গে ছোটো এক বাটি গরম স্যুপ কান্দির বুকে ঠিক যেন নস্টালজিয়া। তাই বলাই চলে এই ছোটখাটো স্ট্রীটের দোকানগুলো আজও সমানতালে মোমোকে সবধরনের মানুষের কাছে পরিচিত করে দিয়েছে। সে কারণে দার্জিলিং থেকে আগত মুর্শিদাবাদ জেলাতে এসে জমিয়ে ব্যবসা শুরু করেছেন সুরজ ছেত্রীরা। বাংলা না বলতে পারলেও– মুর্শিদাবাদ জেলাতে এসে ব্যবসা করতে পেরে খুশি প্রকাশ করেছেন তারা। মূলত চাইনিজ খাবার খেতে ভিড় জমাচ্ছেন ছোট– বড়ও সকলেই।