পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ৫৪ মিনিটে পর পর চার বার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল নেপাল। মঙ্গলবার দুপুর ২.২৫ থেকে বিকেল ৩. ১৯ এর মধ্যে চারবার কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.২। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল কাঠমান্ডু থেকে ৪৪০ কিমি উত্তর পশ্চিমে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৫ কিমি নিচে। নেপালে বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর মিলেছে। পশ্চিম নেপালসহ উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি-এনসিআর, হরিয়ানা, লখনউ, হাপুর, আমরোহা, চণ্ডীগড়, হিমাচল প্রদেশ ও বিহারেও মাঝারি থেকে তীব্র ভূমিকম্প হয়। দিল্লিতে আতঙ্কে বহুতলের বাসিন্দারা রাস্তায় নেমে আসেন। অন্যদিকে কেন্দ্রের বঞ্চনার প্রতিবাদে দিল্লিতে তৃণমূলের কর্মসূচি চলছে। রয়েছন একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব সহ সমর্থকরা। সূত্রের খবর, এদিন কম্পন অনুভব করেছেন তাঁরাও।
নেপালে একটি কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.২। তার জেরে কেঁপে ওঠে দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বেশ কিছু অংশ। নেপালে প্রথম ভূমিকম্পটি হয় মঙ্গলবার দুপুর ২টো ২৫ মিনিটে। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৬। দ্বিতীয় ভূমিকম্প হয় মঙ্গলবার দুপুর ২টো ৫১ মিনিটে। রিখটার স্কেলে তার মাত্রা ৬.২। ১৫ মিনিট পর হয় ৩.৮ মাত্রার আরও একটি ভূমিকম্প হয়। তার ১৩ মিনিট পর ৩টে ১৯ মিনিটে চতুর্থর্টি হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৩.১।
ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি জানিয়েছে, সব থেকে তীব্র কম্পনের কেন্দ্র ছিল উত্তরাখাণ্ডের জোশীমঠের ২০৬ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে, লখনউয়ের ২৮৪ কিলোমিটার উত্তরে। মাটি থেকে পাঁচ মিটার গভীরে ছিল সেই কেন্দ্র। ভূমিকম্পের জেরে নেপালে ভেঙে পড়েছে বেশ কিছু বাড়ি।
রবিবার রাতে ভূমিকম্প হয় দিল্লির প্রতিবেশী রাজ্য হরিয়ানার কিছু অংশে। রাত ১১টা ২৬ মিনিট কম্পন অনুভূত হয়। তার কেন্দ্র ছিল রোহতক থেকে সাত কিলোমিটার পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্বে। সোমবার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে উত্তরবঙ্গ। কোচবিহার ও মালদহের একাধিক এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল মেঘালয়ের রেসুবেলপাড়ার আশেপাশে। কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.২।