পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: জাতি শংসাপত্র মামলায় ক্লিনচিট পেলেন প্রাক্তন এনসিবি প্রধান সমীর ওয়াংখেড়ে। প্রায় বছরের বেশি সময় ধরে চলা জাতি শংসাপত্র মামলায় কাস্ট স্ক্রুটিনি কমিটি প্রাক্তন এনসিবি প্রধান সমীর ওয়াংখেড়েকে ক্লিনচিট দিলেন। ৯১ পাতার এই চার্জশিটে জানানো হয়েছে, ওয়াংখেড়ে জন্মসূত্রে মুসলিম নন। কমিটি ওয়াংখেড়ে-র জাত শংসাপত্রও বহাল রেখেছে। পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে কমিটি সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে যে সমীর ওয়াংখেড়ে এবং তার বাবা জ্ঞানেশ্বর ওয়াংখেড়ে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেননি। আদেশে আরও বলা হয়েছে যে সমীর ওয়াংখেড়ে এবং তার বাবা হিন্দু ধর্মে স্বীকৃত মাহার-৩৭ তফশিলি জাতিভুক্ত।
উল্লেখ্য, শাহরুখ পুত্র আরিয়ান খান মামলায় তদন্তে নেমে বিপাকে পড়েন সমীর ওয়াংখেড়ে। এনসিপি নেতা তথা মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিক দাবি ওয়াংখেড়ের জন্ম বৃত্তান্ত তুলে সরব হন। নবাব মালিক দাবি করেন, এনসিবির জোনাল ডিরেক্টর সমীর ওয়াংখেড়ে একজন ‘মুসলিম’। তাঁর প্রকৃত নাম ‘সমীর দাউদ ওয়াংখেড়ে’। পড়াশোনার সময় বিভিন্ন সার্টিফিকেটে জালিয়াতি করে নিজের নাম পালটে ফেলেছেন সমীর ওয়াংখেড়ে।
সমীর ওয়াংখেড়ের বাবা ধ্যানদেব ওয়াংখেড়ে নবাব মালিকের কথার প্রতিবাদ করে বলেন, তাঁর নাম ধ্যানদেব, দাউদ নয়। সুতরাং তাঁর ছেলের নাম সমীর ওয়াংখেড়ে। সেখানে কেন ইচ্ছেকৃতভাবে ‘দাউদ’ যোগ করা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সমীর ওয়াংখেড়ের বাবা। এদিকে এনসিপি নেতা নবাব মালিক এনসিবির জোনাল কর্তা সমীর ওয়াংখেড়ের জন্মপঞ্জী প্রকাশ্যে আনেন। সেই নথি তিনি ট্যুইটও করেন। তাতে দেখা গিয়েছে, এনসিবি কর্তার নাম সমীর দাউদ ওয়াংখেড়ে। যদিও ইউপিএসসির ফর্ম পূরণে তিনি নিজের নাম লিখেছেন সমীর ধ্যানদেব ওয়াংখেড়ে। আর এখানেই বিতর্কের সুত্রপাত।
আরও পড়ুন: ভেন্টিলেশনে রয়েছেন রুশদি, হারাতে পারেন চোখ, ঘাতকের নাম প্রকাশ করল মার্কিন পুলিশ
সেই সময় সমীর ওয়াংখেড়ে এক প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানান, ‘আমার বাবা হিন্দু, মা মুসলিম। বাবা ধ্যানদেব কাচুরজি ওয়াংখেড়ে রাজ্য আবগারি দফতরের সিনিয়র ইনস্পেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০০৭ সালে তিনি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন। আমার মা, প্রয়াত জাহিদা একজন মুসলিম মহিলা। আমি সেই পরিবারের সন্তান, যারা বহুত্ববাদ, ধর্মনিরপেক্ষ ভারতীয় সংস্কৃতির অংশ।আমি গর্বিত আমার ঐতিহ্যে।’