মোল্লা জসিমউদ্দিন: বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ ফের রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে সন্দেশখালি যাওয়ার অনুমতি দিল। অনুমতি পেলেন আরেক বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষও। এদিন বিরোধী দলনেতাকে জেলিয়াখালি গ্রামপঞ্চায়েতের অন্তর্গত হালদারপাড়ায় যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চ। গত সোমবার সন্দেশখালি যেতে চেয়ে মামলা করেছিলেন তিনি।গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ প্রশ্ন করেছিল, ‘সোমবারই কেন?’ এরপরই বুধবার শুনানির দিন ঠিক হয়। এদিন ছিল সেই শুনানি। সেখানেই সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশ, ‘বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি যেতে পারেন শুভেন্দু’। একইসঙ্গে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি জারি করা নতুন ১৪৪ ধারার যে বিজ্ঞপ্তি, তার উপরও অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। তবে হাইকোর্ট জানিয়েছে, ‘আগের সমস্ত বিধিনিষেধ বহাল থাকবে। শুভেন্দুকেও আগের মতই পুলিশের কাছে অঙ্গীকারপত্র দিতে হবে’।
এদিন রাজ্যের দাবি, ‘শুভেন্দু অধিকারী যেদিন সন্দেশখালি গিয়েছিলেন, সেদিন সেখানে অনেক লোকের জমায়েত হয়েছিল। তাঁর সঙ্গে বিজেপির স্থানীয় নেতারাও ছিলেন’। পুলিশ আধিকারিকদের উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর মন্তব্য করা হয় বলেও এদিন আদালতে প্রসঙ্গ তোলে রাজ্য।রাজ্য এদিন কলকাতা হাইকোর্টে জানায়, ‘একজন আইপিএসকে মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এফআইআর করতে চেয়ে মামলা করছি। ইতিমধ্যেই বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।’ পাল্টা শুভেন্দুর আইনজীবী বলেন, ‘আমরা রাজ্যের এই অভিযোগের বিরোধিতা করছি।’ বিচারপতি কৌশিক চন্দ বলেন, ‘রাজনৈতিক ব্যক্তিরা গেলে এলাকার মানুষ তো আসবেনই।’
রাজ্যকে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘যেখানে শুভেন্দু অধিকারী যেতে চান, অর্থাত্ জেলিয়াখালি গ্রামপঞ্চায়েতের অন্তর্গত হালদারপাড়া, সেখানে কোনও গোলমাল হয়েছে কি না? তা রিপোর্ট থেকে দেখান’। রাজ্য জানায়, ‘যেখান থেকে অজিত মাইতি গ্রেফতার হয়েছে সেই ঝুপখালি থেকে এই এলাকাগুলি কাছেই। তাছাড়া জেলিয়াখালিতে গত ৯ ফেব্রুয়ারি গোলমাল হয়েছে’। এরপর বিচারপতি জানান, ‘তারপর থেকে আর কোনও গন্ডগোলের অভিযোগ জেলিয়াখালিতে নেই।’ রাজ্য জানায়, ‘সেখানে পুলিশ পিকেট আছে’। এরপর উভয়পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে আদালত শুভেন্দুকে সন্দেশখালি যাওয়ার শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দেয়। একইসঙ্গে সন্দেশখালির জেলিয়াখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের হালদার পাড়া এলাকায় ১৪৪ ধারা স্থগিতের অন্তবর্তী নির্দেশ দেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ।