উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি : সুন্দরবনের জঙ্গলে বাঘের কামড়ে মৃত্যুর পরে সরকারি ক্ষতিপূরণ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায় খুশি সুন্দরবনের বাঘের কামড়ে মৃতের পরিবার পরিজনেরা। গত বুধবার কোলকাতা হাইকোর্টের বিচারক সব্যসাচী ভট্টাচার্যের বেঞ্চ এক যুগান্তকারী রায় দিয়েছেন। সুন্দরবনের প্রতিনিয়ত বাঘের আক্রমণে মৃত্যু মিছিল অব্যাহত। গত ৬ বছরে প্রায় ১৫০ জন মৎসজীবী বাঘ ও কুমিরের দ্বারা আক্রান্ত ১২০ জন মৎস্যজীবি নিহত অথচ মাত্র দুই চারজন ছাড়া কেউই ক্ষতি পূরন পায়নি।
অথচ বাঘের আক্রমণে নিহতদের ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতি পূরন ও আহতদের ৪০% এর উপর প্রতিবন্ধী হলে সর্বোচ্চ ২ লক্ষ টাকা ক্ষতি পূরন দিতে হবে Joint Secretary 2018 circular তা উল্লেখ আছে এবং চিকিৎসা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ও আহতদের নদী থেকে নিয়ে আসার জন্য অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা দিতে হবে। কিন্তু বাস্তবতা সম্পুর্ন ভিন্ন মৎসজীবিদের অভিযোগ তারা এই সুবিধা পায় না সরকার ও বনদফতর তাদেরকে সহযোগিতা করে না বরং তাদের কোনও দরখাস্ত জমা নিতে চায় না।
এই অফিস নয় অন্য অফিস অনেক সময় বরখাস্তের রিসিভ কপি ও দেওয়া হয়না।সুন্দরবনের কুলতলির কৈখালীর বাসিন্দা লকাই নস্কর গত ২০২১ সালের ১৮ ই নভেম্বর বাঘের আক্রমণে মারা যায়।তার দুই নাবালক ছেলে ও স্ত্রী শান্তিবালা নস্কর দীর্ঘ দিন বনদপ্তরের কাছে দরখাস্ত জমা দিলেও ক্ষতি পূরনের টাকা দেওয়া হয়নি।
পরবর্তী কালে এপিডিআর নামে একটি সংগঠনের উদ্যোগ ক্ষতি পূরনের জন্য আরটিআই করা হলে বনদপ্তর উত্তর দেয় তাদের কাছে বাঘে কামড়ে মারা গেছে এরকমই কোন তথ্য নেই। তারপরই এপিডিআর মানবাধিকার সংগঠন উদ্যোগে কোলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবি কৌশিক গুপ্তা ও শ্রীময়ী মুখোপাধ্যায় করা মামলায় বলেন কোর্টের এই মানবিক রায়ে সুন্দরবনের মৎসজীবিদের বাঘে আক্রান্ত পরিবারের অনেক উপকৃত হবে।
এপিডিআর দঃ ২৪ পরগনার সহঃ সম্পাদক মিঠুন মন্ডল বলেন, সুন্দরবন মৎসজীবি ও বাঘ বিধবাদের ক্ষতি পূরণ দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি আমরা।কলকাতা হাইকোর্টের যুগান্তকারী রায়ে আমরা খুশি।
এদিন বিচারপতি এও বলেন,বনদপ্তরের জারি করা ক্ষতিপূরন সংক্রান্ত ওই নির্দেশিকায় যেহুতু কোর ও বাফার এলাকা বলে কিছু নেই তাই মামলাকারীকে ১৩ অক্টোবরের মধ্যে পাঁচ লক্ষ টাকা মিটিয়ে দিতে হবে। মিঠুন মন্ডল এদিন এও বলেন, এখন কোর ও বাফার এরিয়া ভেদাভেদ থাকলো না এখন সমস্ত বাঘ বিধবাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
আগামীদিনে পরিবারের মাসিক ১০.০০০ টাকা পেনশন এর দাবি নিয়ে আমাদের আন্দোলন আর ও তীব্রতর হবে।আর শুক্রবার কুলতলি থেকে বাঘে কামড়ে মৃতের পরিবাররা জানান, আমরা খুশি আদালতের এই রায়ে